আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস বিভাগে ১৩ বছর বয়সি এক নাবালককে নিয়োগ করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজের প্রথম ভাষণে এ কথা তিনি ঘোষণা করেন। ওই নাবালকের নাম ডিজে ড্যানিয়েল। সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হিসাবে তার নিয়োগের কথা জানাতেই উপস্থিত সকলে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। করতালিতে ফেটে পড়ে সভাঘর। ড্যানিয়েলের নিয়োগের নেপথ্যে রয়েছে অন্য গল্প।
১৩ বছরের ড্যানিয়েল দুরারোগ্য ব্রেন ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পাঁচ মাসের বেশি আয়ু নেই তার। ট্রাম্প জানান, ড্যানিয়েলের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, সে পুলিশ অফিসার হবে। সেই স্বপ্নই তিনি পূরণ করলেন। আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্ট হিসাবে ড্যানিয়েলকে নিয়োগ করা হল। ভাষণের মাঝেই ড্যানিয়েলকে ডেকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ডিজে, আমরা তোমাকে আজ সবচেয়ে বড় সম্মান দিতে চলেছি। আমাদের সিক্রেট সার্ভিসের নতুন ডিরেক্টর সিন কারেনকে বলছি, তোমাকে এখন থেকে আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্ট করে দেওয়া হোক। ধন্যবাদ ডিজে।’’ এর পর নাবালকের হাতে সিক্রেট সার্ভিসের ব্যাজ তুলে দেন কারেন।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পেনসিলভেনিয়ায় প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেই সময়ে আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিসের তরফে কারেনকে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তিনি এবং সিক্রেট সার্ভিসের বাকি আধিকারিকেরা ট্রাম্পের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়েও যান কারেন। তিনি বর্তমানে সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর।
দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের প্রথম ভাষণ। ড্যানিয়েল ছাড়া আরও এক জনের স্বপ্নপূরণ করেন ট্রাম্প। স্কুলে তাঁর এক সিনিয়রকে তিনি ওয়েস্ট পয়েন্টের সামরিক অ্যাকাডেমিতে নিয়োগ করেন। ট্রাম্প জানান, জেসন হার্টলি নামের ওই প্রৌঢ়ের স্বপ্ন ছিল, তিনি কর্মক্ষেত্রে তাঁর বাবার উত্তরাধিকার বহন করবেন। আমেরিকার সেনাবাহিনীতে ছিলেন তাঁর বাবা। সামরিক অ্যাকাডেমিতে যোগ দিলে প্রৌঢ়ের সেই স্বপ্নও পূরণ হবে।