Advertisement
E-Paper

রাজ্য সভাপতি বাছার কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি

গত মাসে নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের মতে, তাঁদের আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল পরবর্তী বিজেপি সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে।

— প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০২
Share
Save

বাজেট অধিবেশন শেষ। পরবর্তী ধাপে এ বার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নেওয়ার ব্যাপারে তৎপর হতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, আগামী দিন দশেকের মধ্যে দলের নতুন প্রধান বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ১৯ জন রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের পরেই কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্বাচন সম্ভব। বর্তমানে ১৩টি রাজ্যের রাজ্য সভাপতি বেছে নিয়েছে দল। বাকি ছ’টি রাজ্যেও দ্রুত ওই কাজ সেরে ফেলার পক্ষপাতী তাঁরা।

গত মাসে নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের মতে, তাঁদের আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল পরবর্তী বিজেপি সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে। জেপি নড্ডার উত্তরসূরি কে হবেন তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই মতানৈক্য জারি রয়েছে দুই শিবিরে। কিন্তু সূত্রের মতে, মোদী-ভাগবতের বৈঠকের পরে সেই জট একেবারে কেটে গিয়েছে এমনটা দাবি করছেন না দুই শিবিরের কোনও নেতাই। উল্টে সূত্রের মতে, বিষয়টি নিয়ে অচলাবস্থা জারি রয়েছে। সমাধান সূত্র অধরাই।

এই আবহে দলীয় সভাপতির নাম চূড়ান্ত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক কাজগুলি সেরে ফেলতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্যগুলিতে যাতে দ্রুত সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলা যায় তার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। নতুন সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে নিজের দল তৈরি করে মাঠে নামার আগেই ভোটের ঘণ্টা বেজে যাবে। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি পরিবর্তন করা নিয়ে দলের মধ্যেই মতবিরোধ রয়েছে। দলের একাংশ মনে করছেন, নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার অর্থই হল দলে নতুন শিবিরের জন্ম দেওয়া। তার চেয়ে বর্তমান সভাপতিকে রেখেই নেতৃত্বের ভিতরে চলতে থাকা টানাপড়েনে রাশ টেনে ভোটের প্রস্তুতিতে নামুক দল। যদিও ওয়াকিবহাল শিবিরের মতে, গোড়ায় এ ধরনের চিন্তাভাবনা থাকলেও এখন পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের কথাই ভাবছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একাধিক ব্যক্তি দৌড়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পরিবর্তে কাকে দল দায়িত্ব দেয়, সেটাই দেখার।

উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও কর্নাটকে বর্তমানে সভাপতির পদে রয়েছেন যথাক্রমে ভূপেন্দ্র সিংহ, বি ডি শর্মা ও বি জে বিজয়েন্দ্র। এদের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিজয়েন্দ্র ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কর্নাটকের সভাপতি হন। তাঁকেই দ্বিতীয় বার পূর্ণ সময়ের জন্য রাজ্য সভাপতি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উত্তরপ্রদেশে ভূপেন্দ্র সিংহ গত তিন বছর ধরে রাজ্য সভাপতি রয়েছেন। দু’বছরের মধ্যেই ওই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সূত্রের মতে, ঠাকুর সমাজের প্রতিনিধি যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকায় এ বার রাজ্য সভাপতি পদে কোনও ব্রাহ্মণ মুখকে নিয়ে আসার ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে মধ্যপ্রদেশে বি ডি শর্মা গত পাঁচ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন। কার্যত তাঁরই নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশে হারা ম্যাচ জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে গেরুয়া শিবির। বি ডি শর্মাকে রাজ্যের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে দিল্লিতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BJP BJP President

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}