মুখোমুখি: মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বক্তৃতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
আমেরিকাকে ঢেলে সাজতে ফের এক ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি। থেকে থেকেই বিঁধলেন পূর্বসূরিকে। আর আগাগো়ড়া সুর নরম রেখেও বুঝিয়ে দিলেন, দেশের নিরাপত্তা আর আর্থিক বৃদ্ধিই আপাতত তাঁর প্রধান বিবেচ্য।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টানা এক ঘণ্টা। দেশের স্বার্থেই রিপাবলিকানদের সঙ্গে হাত মেলাতে বললেন ডেমোক্র্যাটদের। আইএস-নিধনের শপথ নিতে গিয়ে মাঝে এক বার সুরও চড়ালেন।
ট্রাম্পোচিত মেজাজের আঁচ পেয়ে সব চেয়ে বেশি হাততালিটা প়ড়ল ঠিক তখনই। প্রকাশ্যে হাসতে দেখা গেল ভেরমন্টের ডেমোক্র্যাট সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের মতো কট্টর ট্রাম্প-বিরোধীদেরও। একাধিক বার।
সম্প্রতি ইয়েমেনে আল কায়দার ঘাঁটিতে অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন মার্কিন নেভি সিলের সদস্য রায়ান ওয়েনস। এ দিন তাঁর স্ত্রী ক্যারিন ওয়েনসও উপস্থিত ছিলেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প যখন রায়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন, ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেললেন ক্যারিন। চোখের জল মুছিয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিলেন পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কা।
আমেরিকার ‘দুর্দশার’ কথা বলতে গিয়ে পূর্বসূরি বারাক ওবামাকে একহাত নিলেন ট্রাম্প। শুরুই করলেন ‘ঋণের বোঝা’ দিয়ে। তাঁর কথায়, ‘‘গত আট বছরে যে সব খাতে নতুন ঋণ নেওয়া হয়েছে, তেমনটা আগের সব প্রেসিডেন্ট মিলেও নেননি। এখনও দেশের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে রয়েছেন।’’ তাঁর দাবি, গত ৬৫ বছরের মধ্যে এটাই সব চেয়ে খারাপ সময়। যার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি জানালেন, ‘নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড’ চুক্তি কার্যকর করতে গিয়েই উৎপাদন খাতে এক চতুর্থাংশ কাজ খুইয়েছে আমেরিকা। খাঁড়ার ঘা দিয়েছে ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনে চিনের যোগদান। তাঁর দাবি, এতে মাটি হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি কারখানার ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন: শ্রীনিবাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প, আশা দেখছে দিল্লি
মার্কিন অর্থনীতি গো়ড়া থেকেই ঢেলে সাজতে চাইছেন ট্রাম্প। তাঁর কথায়, ‘‘এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে বিদেশি সংস্থা সহজেই এখানে ব্যবসা করতে পারে। এতটাই সহজে, যেন পরে তাদের এই দেশ ছা়ড়াটাই কঠিন হয়ে যায়।’’ জানান, তিনি মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে। একই সঙ্গে চান ন্যায্য বাণিজ্যও।
তাঁর প্রশাসন মধ্যবিত্তদের কথাও ভাবছে বলে জানান ট্রাম্প। এ দিন তিনি বড় অঙ্কের আয়কর কমানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। আর জানিয়েছেন, ওবামা জমানার স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প (ওবামা কেয়ার) পুরোপুরি বাতিল করে নতুন কিছুর কথা ভাবছে তাঁর প্রশাসন। যা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy