দেশের মাটিতে জন্মালেই প্রত্যেককে নাগরিকত্বের অধিকার দেয় না আমেরিকার সংবিধান— বুধবার দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ‘এই সুযোগ যে ভাবে হোক বন্ধ’ করতে বদ্ধপরিকর তিনি।
প্রশাসনিক নির্দেশনামা জারি করে জন্মগত নাগরিকত্ব আইন বদলানোর কথা তিনি বলেছিলেন কালই। আজ ট্রাম্পের দাবি, ‘‘আমেরিকার মাটিতে জন্মানো মানেই সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকারী, এই নিয়মে আমাদের দেশে হাজার হাজার কোটি ডলার নষ্ট হয়েছে। আমাদের নাগরিকদের জন্য এটি অন্যায্য। তাই যে ভাবে হোক, এটা বন্ধ করা হবে।’’
বুধবার টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘এই অধিকার ১৪ তম সংশোধনীর আওতায় নেই। সেখানে রয়েছে, ‘এটি পাল্টানোর এক্তিয়ার মার্কিন কংগ্রেসের আছে।’ অনেক আইনি বিশেষজ্ঞও এ বিষয়ে একমত।’’ মার্কিন গৃহযুদ্ধের পরে ১৪ তম সংশোধনী যোগ হয় সংবিধানে। তার পর থেকেই আমেরিকার মাটিতে জন্মানো যে কাউকে নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়া শুরু হয়।
বস্তুত ১৪ তম সংশোধনী ছিল প্রাক্তন দাসদের অধিকার রক্ষার জন্য। ট্রাম্পের মতো বহু রিপাবলিকান মনে করেন, এই সংশোধনীর জেরে অনেকেই বেআইনি ভাবে আমেরিকায় এসে সন্তানের জন্ম দেন। প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘আমাদের আইন ব্যবহার করে আমাদেরই ক্ষতি করছে গোটা বিশ্ব।’’ তবে ট্রাম্প কাল বলেছিলেন, ‘‘পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র আমাদের দেশেই এ রকম অদ্ভুত একটা নিয়ম আছে।’’ যদিও আমেরিকার প্রতিবেশী কানাডা, মেক্সিকো-সহ অন্তত ৩০টি দেশে জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy