বাংলাদেশে ভোটের আগে ঢাকার জন্য একটি উপহার নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে। আগামী মাসে ভারত সফরে আসছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড। ওই বৈঠকে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্য ভারত তার ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমোদন দেবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে এর পর ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার দিকটি খোলা হবে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ দু’টি পৃথক পথে বাংলাদেশের পঞ্চগড় কিংবা ঠাকুরগাঁও দিয়ে পাঠানোনিয়ে আলোচনা চলছে। এর জন্য ভারতের ভূখণ্ডে ৪০-৫০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণেরপ্রয়োজন হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলছে বাংলাদেশ এবং নেপাল। খুব সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে ত্রিদেশীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালনে সহযোগিতার বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশ একমত হয়।
এর পরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশ এবং নেপালের যৌথ বিনিয়োগেদেশটিতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের উপর দিয়ে আন্তঃসংযোগ গ্রিড লাইন ব্যবহার করে আমদানি এবং নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল গত বছরের অগস্ট মাসে।
পরিকল্পনা অনুসারে, ভারতের পরিকাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসার কথা ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। নেপালি বিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক বার অনুরোধ জানিয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরকালেও ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়েনেপাল এবং ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতির জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)