আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর বিষয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে আমেরিকার অভ্য়ন্তরীণ নিরাপত্তা (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) বিভাগের রিপোর্টে। সেখানে ট্রাম্প এবং বাইডেনের আমলে আমেরিকা থেকে অবৈধবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। কেন বাইডেনের আমলে বেশি সংখ্যক মানুষকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছে হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথগ্রহণ করেন গত ২০ জানুয়ারি। তার পর থেকে বহু অবৈধবাসীকে চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতেও তিন দফায় আমেরিকা থেকে ফিরেছেন অবৈধবাসীরা। তাঁদের ফেরত পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, মার্কিন সামরিক বিমানে পায়ে শিকল বেঁধে দেশে পাঠানো হয়েছে অবৈধবাসীদের। ট্রাম্পের দ্বিতীয় জমানার শুরু থেকেই এই বিষয়টি চর্চায় রয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে। হোয়াইট হাউসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর প্রথম মাসে মোট ৩৭ হাজার ৬৬০ জন অবৈধবাসীকে আমেরিকা থেকে তাড়িয়েছেন। বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালীন শেষ বছরে এই ধরনের বিতাড়নের মাসিক গড় ৫৭ হাজার। ট্রাম্পের প্রথম মাসের তুলনায় প্রায় ২০ হাজার বেশি।
আরও পড়ুন:
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানিয়েছেন, বাইডেনের সময়ে আমেরিকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। সেই কারণেই তাঁদের বিতাড়নের সংখ্যাও বেশি। তবে আগামী দিনে ট্রাম্প আরও বেশি সংখ্যক অবৈধবাসীকে আমেরিকাছাড়া করতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারে ট্রাম্প অন্যতম হাতিয়ার করেছিলেন অবৈধ অনুপ্রবেশ সমস্যাকে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে লক্ষ লক্ষ অবৈধবাসীকে তাড়িয়ে দেবেন আমেরিকা থেকে। মার্কিন মুলুকে ইতিহাস তৈরি করবেন বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় এসে সেই কাজ তিনি শুরুও করে দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা, বাইডেনের সময়কালে শেষ বছরে বহু মানুষ অবৈধ ভাবে আমেরিকায় ঢুকতে গিয়ে সীমান্তে ধরা পড়েছেন। তাই তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো ছিল সহজ। সেই কারণেই বাইডেনের পরিসংখ্যান এ ক্ষেত্রে বেশি।