—ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জ মুসলিম বা খ্রিস্টানদের বিপন্নতায় সক্রিয় হলেও হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধদের জন্য অনাদরই থাকছে বলে অভিযোগ ভারতের। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে এই মর্মে সরব হওয়ার পাশাপাশি করতারপুর সাহিব গুরুদ্বারের পরিচালনার দায়িত্ব থেকে শিখদের সরানোয় পাকিস্তানের সমালোচনাও করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের সচিব আশিস শর্মা।
কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনের এক আলোচনায় আশিস বলেন, “পাকিস্তান ইতিমধ্যেই এই সম্মেলনে গৃহীত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাবকে লঙ্ঘন করেছে। গত মাসে হঠাৎই পাকিস্তান শিখদের পবিত্র ধর্মস্থান করতারপুর সাহিব গুরুদ্বারের পরিচালনার দায়িত্ব শিখদের থেকে কেড়ে নিয়ে অন্য সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, গত বছর ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছিল তাতে করতারপুর সাহিব করিডর সংক্রান্ত উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়।
পাকিস্তান করতারপুর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই গত মাসে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ওই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছিল। এ বার তা রাষ্ট্রপুঞ্জে নিয়ে এল সাউথ ব্লক। ইমরান সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও এনেছে ভারত, কিছুটা অভূতপূর্ব ভাবে। আশিসের কথায়, “ইহুদি, ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মের বিরুদ্ধে আক্রমণ হলে রাষ্ট্রপুঞ্জ সক্রিয় হয়ে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করে। ভারতও তাতে যোগ দেয়। কিন্তু তারাই হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও হিংসা ছড়ানো হলে চুপ করে থাকে! কেন এই বৈষম্য? রাষ্ট্রপুঞ্জ এমন একটি সংগঠন, ধর্মের প্রশ্নে যার একটি পক্ষ নেওয়া সঙ্গত নয়। এ ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হলে বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে সংঘাত হবে। আমরা চাই মেলবন্ধনকারী হিসেবে রাষ্ট্রপুঞ্জ সবার কথা বলুক, বাছাই করা কিছু ধর্মের কথা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy