ফিদেল ও রাউল কাস্ত্রো
প্রায় ছ’দশক পর কাস্ত্রো পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট পদে। আগামী এপ্রিলে কিউবান রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন রাউল কাস্ত্রো। তার পর কে বসবেন তাঁর জায়গায়, তা চূড়ান্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় সর্বজনীন ভোট হতে চলেছে আগামী ১১ মার্চ। শনিবার ভোটের দিন ঘোষণা করেছে কিউবার ‘কাউন্সিল অব স্টেট’। এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া।
কিউবান প্রেসিডেন্ট অবশ্য সরাসরি নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন না। ১১ মার্চ ৮০ লক্ষের বেশি কিউবান নাগরিক ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ১৫টি প্রাদেশিক পরিষদ (প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি) এবং জাতীয় পরিষদ (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব পিপল’স পাওয়ার) প্রতিনিধিদের। এই দুই পরিষদেরই মেয়াদ পাঁচ বছর করে।
জাতীয় পরিষদের নতুন প্রতিনিধিরা নির্বাচিত করবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে। দেশের ‘ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট’ এবং পরবর্তী ‘কাউন্সিল অব স্টেট’-এর বাকি সদস্যদেরও নির্বাচিত করবে এই জাতীয় পরিষদ। জাতীয় পরিষদের দু’টি অধিবেশনের মাঝে ৩৫ সদস্যের এই ‘কাউন্সিল অব স্টেট’-ই কিউবায় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ক্ষমতা ভোগ করে।
মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল। কাস্ত্রোদের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী।
কিউবান বিপ্লবের পর ১৯৫৯ সালে সে দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। একটানা প্রায় পাঁচ দশক ফিদেল সেই পদে ছিলেন। ২০০৮ সালে বয়স এবং অসুস্থতার কারণে তিনি সরে দাঁড়ানোয়, তাঁর জায়গায় বসেন ভাই রাউল কাস্ত্রো। ২৫ নভেম্বর, ২০১৬ ফিদেল মারা যান। রাউলের বয়স এখন ৮৬। গত মাসেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “নতুন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তৈরি হয়ে গেলে, দেশ এবং সরকারের প্রধান হিসাবে আমি আমার দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত দফা শেষ করব। কিউবা পাবে নতুন প্রেসিডেন্ট।”
আরও পড়ুন: সম্পর্ক বদল, এ বার কাস্ত্রোর দেশে চললেন ওবামা
কে হতে চলেছেন ফিদেল আর রাউলের উত্তরাধিকারী? এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে সে দেশের বর্তমান ‘ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট’, ৫৭ বছর বয়সী মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল এগিয়ে রয়েছেন এই পদের জন্য। ক্যানেল ২০০৩ সাল থেকে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy