Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
COVID-19 Vaccine

অক্সফোর্ডের পর জনসন, স্বেচ্ছাসেবকের অজানা রোগ, বন্ধ হল করোনা টিকার ট্রায়াল

প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে নিয়ে নিজেদের তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের ট্রায়াল চালাচ্ছিল জনসন অ্যান্ড জনসন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৩:০৭
Share: Save:

তাদের তৈরি প্রতিষেধকের একটি মাত্র ডোজেই কাবু হবে করোনা। কোভিডের প্রতিষেধক নয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার মধ্যে এমনটাই দাবি করেছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। এ বার মাঝপথে সম্ভাব্য কোভিড প্রতিষেধকের ট্রায়াল বন্ধ করে দিতে হল তাদেরও। তৃতীয় পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালীন, এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। তাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে।

সংস্থার তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধকের সমস্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ে যে ট্রায়াল চলছিল, আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে তা-ও। ট্রায়াল চলাকালীন এক জন স্বেচ্ছাসেবক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও বিশ্বের ২০০টিরও বেশি শহর থেকে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে নিয়ে নিজেদের তৈরি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের ট্রায়াল চালাচ্ছিল জনসন অ্যান্ড জনসন। অনলাইন আবেদনের মাধ্যমেও বহু স্বেচ্ছাসেবক ওই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। ট্রায়াল চলাকালীন কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা (সিরিয়াস অ্যাডভার্স ইভেন্টস) যাতে না ঘটে, তা তদারকির জন্য নিরপেক্ষ কমিটি নিয়োগ করা হয়েছিল। এর মধ্যেই এক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে অজানা রোগ ধরা পড়ে। তার পরই ট্রায়াল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কোভিড পরীক্ষার খরচ কমানোর নির্দেশ দিল রাজ্য​

তবে হাজার হাজার মানুষের শরীরে সম্ভাব্য প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সময় এই ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয় বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা। নিয়ম নীতি মেনে পরীক্ষা হচ্ছে কি না, তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। সম্ভাব্য ওই প্রতিষেধক কতটা নিরাপদ, তা যাচাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ নামল ৫৫ হাজারে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৭৭ হাজার​

এর আগে, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় মাঝপথে ট্রায়াল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘চ্যাডক্স ১’-এর ট্রায়ালও। চূড়ান্ত অর্থাৎ তৃতীয় পর্যায়ে যাঁদের উপর এই পরীক্ষা চলছিল, প্রতিষেধকের ডোজ নেওয়ার পর তাঁদের মধ্যে এক স্বেচ্ছাসেবক অজ্ঞাত অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাই সেইসময় ওই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় অ্যাস্ট্রোজেনেকা। তার এক সপ্তাহের মাথায় যদিও ফের ট্রায়াল চালু করে দেয় তারা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy