চিনের হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। ছবি রয়টার্স।
করোনার নতুন উপরূপের দাপটে নতুন বছরের আনন্দ ফিকে হয়েছে চিনে। নতুন করে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে জিনপিং প্রশাসন। হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের বিভিন্ন প্রদেশের একাধিক হাসপাতালে কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দিন-রাত এক করে কাজ করছেন সকলে।
শানজি, হেবাই, হুনান, জিয়াংসু প্রদেশে হাসপাতালগুলিতে অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করছেন কর্মীরা। তাঁদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। চিনের ৬টি প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের শেষ দিক থেকেই চিনে নতুন করে করোনার দাপট শুরু হয়েছে। হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এর আগে চিনে ‘শূন্য কোভিড নীতি’ জারি করা হয়েছিল। কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন চিনের নাগরিকদের একটা বড় অংশ। শেষে এই নীতি থেকে পিছু হঠে জিনপিং সরকার। করোনা মোকাবিলায় সেই শূন্য কোভিড নীতি প্রত্যাহার করার পরই সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে থাকে। আগামী দিনে চিনে সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ইংরাজি নববর্ষের প্রাক্কালে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘‘করোনা সংক্রমণের নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে দেশ। যা দেশের কাছে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ।’’ তিনি এ-ও বলেছেন যে, ‘‘সকলেই দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছেন এবং আমাদের সামনে আশার আলো ঠিক রয়েইছে।’’
অন্য দিকে, দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা বন্ধ রেখেছে বেজিং। যার জেরে আরও উদ্বেগ বেড়েছে। চিনের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। চিনের কাছ থেকে কোভিড সংক্রান্ত তথ্য জানা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। আগামী মঙ্গলবার হু’র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং নিয়ে বিশদে তথ্য তুলে ধরতে পারেন চিনা বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy