হু-র বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ছবি-এএফপি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (‘হু’) বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বললেন, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই চিনের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলে চলেছে হু। আর আমেরিকাকে বিভ্রান্ত করেছে। এ মাসের গোড়ার দিকেও হু-র বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই অভিযোগ তুলে হু-কে দেওয়া বাৎসরিক অর্থ সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্তও জানিয়ে দিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “হু-তো আক্ষরিক অর্থেই চিনের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছে। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই। হু-র কাজকর্ম নিয়ে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। ওরা (হু) আমাদের বিভ্রান্ত করেছে। আমরা যা সুপারিশ করার, শীঘ্রই করব।”
করোনা সংক্রমণ রুখতে হু তার কাজ যথার্থ ভাবে করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই তদন্ত শুরুও হয়েছে। তদন্ত চলছে বলেই হু-কে দেওয়া বাৎসরিক মার্কিন অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। কী ভাবে চিনের উহান প্রদেশ থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুত গোটা বিশ্বে ছড়াল, এর পিছনে বেজিংয়ের ভূমিকা রয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে ট্রাম্প প্রশাসন সূত্রের খবর।
ট্রাম্প হু-র বিরুদ্ধে কীসের সুপারিশ করতে চলছেন, সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “বিশ্বস্বাস্থ্যের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে হু চিনের সুরে সুর মিলিয়ে চলছে। এর বিরুদ্ধেই সুপারিশ করা হবে।’’
আরও পড়ুন: করোনার টিকা তৈরিতে এগিয়ে অক্সফোর্ড, পরীক্ষায় সফল হলে বাজারে আসতে পারে সেপ্টেম্বরে
আরও পড়ুন: কাঁপুনি, মাথার যন্ত্রণা? এ গুলোও করোনার উপসর্গ হতে পারে, বলছে মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা
কেন সেই তদন্তে ট্রাম্প গোয়েন্দাদেরও নিয়োগ করেছেন, সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “খবরাখবর আসছে আমার কাছে। আমি ইতিমধ্যেই অনেক কিছু জানতে পেরেছি। হু-কে আমরাই সবচেয়ে বেশি অর্থ সাহায্য করি। আমরা হু-র কাজকর্মে আদৌ সন্তুষ্ট নই। ওরা যা জানতে পেরেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু ওরা জানতে পারতো। ওরা বলছে বটে, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার অনেক ঘটনা ওরা জানতে না। কিন্তু আমার প্রশ্ন, ওরা জানত না? নাকি আমাদের সে সব জানায়নি? ওর্ আরও আগে চিনে যেতে পারতো। সংক্রমণ যাতে অন্য দেশে না ছড়ায়, তার জন্য হু যথাযথ ব্যবস্থা নতে পারতো। বেজিং কেন নিজের দেশে বিমান উড়তে না দিয়ে অন্য দেশে বিমান ওড়ার অনুমতি দিয়েছিল সেই সময়?”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy