প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা যাঁরা করছেন, তাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই। সব রকম ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিয়ে চিকিৎসা করেও ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলেন দুই চিকিৎসক। তবে তাঁরা কোন হাসপাতালে কর্মরত এবং তাঁদের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্তারা। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ওই দুই চিকিৎসক ছাড়াও আরও দু’জনের করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশে। এই নিয়ে বাংলাদেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮। মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচ হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ জন।
শুক্রবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা জানিয়েছেন, সর্বশেষ আক্রান্ত চার জনের মধ্যে তিন জনই করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন। তবে অন্য জন কীভাবে আক্রান্ত হলেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। নতুন আক্রান্ত চার জনের মধ্যে তিন জন মহিলা ও এক জন পুরুষ। এক জন ঢাকার বাসিন্দা অন্য দু’জন ঢাকার বাইরে থাকতেন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন ও পুরনো, সব আক্রান্তই স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁদের কোনও জটিলতা নেই। সেব্রিনা আরও জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০২৬ জনের।
সংক্রমণ বেড়ে চলায় ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্য প্রান্তেও করোনার পরীক্ষা চালু করার দাবি উঠেছে। সরকারও তার চেষ্টা করছে বলে জানিয়ে সেব্রিনা বলেছেন, ‘‘আইআইডিসিআর-সহ এখন ঢাকার জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস-এও চালু হয়েছে পরীক্ষা।’’
আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে অন্তত ২৩ জনকে সংক্রমিত করেছেন পঞ্জাবের করোনা-আক্রান্ত
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে
কিন্তু পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই টেস্ট কিট ও সুরক্ষা সামগ্রীর টান পড়তে শুরু করেছে। তবে দেশ-বিদেশ থেকে সেই সব সরঞ্জামও সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাব্রিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের একটি সংগঠন এর আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১০ হাজার কিট পাঠিয়েছিল। চিন গতকাল কিছু কিট ও সুরক্ষা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং ইউনিসেফ-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিও সাহায্য পাঠাচ্ছে। দেশের মধ্যে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি করে বিতরণ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy