ছবি: রয়টার্স।
দু’রকম কথা বলছেন ডাক্তারেরা। করোনা-আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত দু’দিনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে হোয়াইট হাউসের পরস্পরবিরোধী বিবৃতিও। কখনও বলা হচ্ছে, ভাল আছেন প্রেসিডেন্ট। সোমবারই নাকি ছাড়া পাবেন হাসপাতাল থেকে। তার পরের মুহূর্তেই আবার শোনা গিয়েছে, ‘এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না!’ এমনকি ট্রাম্পকে এক বারও অক্সিজেন-সাপোর্ট দিতে হয়েছে কিনা, তা নিয়েও ধোঁয়াশা বিস্তর। বিরোধীরা সবে যখন এ নিয়ে ঘুরিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকেই বিঁধতে শুরু করেছেন, তখনই মাঠে নামলেন খোদ প্রেসিডেন্ট। গতকাল হাসপাতাল থেকেই চার মিনিটের একটি ফরমাল-ভিডিয়ো পোস্ট করে ট্রাম্প বললেন, ‘‘আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছি। আশা করছি, শীঘ্রই ছুটি পাব। তবে আগামী ক’টা দিনই আসল পরীক্ষা।’’
‘আগের থেকে ভাল’ মানে? তাঁর কোভিড-রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যে ভাবে তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে ওয়াল্টার রিড মিলিটারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন থেকেই বিপদের গন্ধ পাচ্ছিলেন অনেকে। ট্রাম্প নিজেও সাম্প্রতিক ভিডিয়োতে জানিয়েছেন, হাসপাতালে আসার পরে তিনি বিশেষ স্বচ্ছন্দ বোধ করছিলেন না। তার থেকে এখন অনেকটাই ভাল। ট্রাম্পের মেডিক্যাল টিম জানিয়েছেন, সোমবারই হয়তো হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে ট্রাম্পকে। কাল পর্যন্ত দু’বার অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩-এ নামলেও, এখন ভালই আছেন প্রেসিডেন্ট।
কাল এক মার্কিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডস জানান, যেমনটা বলা হয়েছিল, শুক্রবার তার থেকে অনেকটাই খারাপ পরিস্থিতি ছিল প্রেসিডেন্টের। জ্বর তো ছিলই, শরীরের অক্সিজেনের মাত্রাও দ্রুত নামছিল ট্রাম্পের। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসেরই এক কর্তা জানান, হাসাপাতালে ভর্তি করানোর আগে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছিল ট্রাম্পকে। এই বিষয়টা এড়িয়ে গেলেও মেডস বলেন, ‘‘কাল সকালে (শুক্রবার) আমরা সত্যিই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। তবে সবচেয়ে বড় কথা, এখন উনি সত্যিই ভাল। জ্বর নেই, অক্সিজেনের মাত্রাও যথেষ্ট ভাল। চিকিৎসায় খুবই ভাল সাড়া দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।’’ এর কয়েক ঘণ্টা আগেই কিন্তু মেডসকে বলতে শোনা গিয়েছিল— আগামী ৪৮ ঘণ্টা আরও সঙ্কটজনক হতে পারে। প্রেসিডেন্ট কবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন, কিছুই বলা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, তাঁর এই বিবৃতিতে কিছুটা ক্ষিপ্ত হন ট্রাম্প। আর তার পরেই ‘প্রেসিডেন্ট ভাল আছেন’ বলে বিবৃতি সংশোধন করেন মেডস। ভিডিয়োতেও ট্রাম্পকে মোটামুটি স্থিতিশীল বলেই মনে হয়েছে। হাসপাতাল থেকে অল্পবিস্তর প্রচারের কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: বড়দিনের মধ্যেই কি টিকার সুখবর দেবে অক্সফোর্ড
আরও পড়ুন: টিকা এলেই ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যাবে না ভাইরাস
তবু তাঁর বয়স এবং ওবেসিটিই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। হাসপাতালে আসার পরেই অ্যান্টি-ভাইরাল রেমডেসিভিয়ার দেওয়া হয় তাঁকে। আজ এর দ্বিতীয় ডোজ়ও নির্বিঘ্নে নিয়েছেন ট্রাম্প। আপাত আনকোরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা একটি ককটেল অ্যান্টিবডির ডোজ়ও দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টকে। ভোটের আর মাসখানেকও বাকি নেই। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্টের বেশ কয়েকটি প্রচার-সভা পিছিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প শিবির। কিছু সভা হবে ভার্চুয়ালি। এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য-আপডেট নিয়ে এই ধোঁয়াশায় কিছুটা হলেও বিরক্ত ট্রাম্প শিবির। এ দিকে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন নিয়মিত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেও সুযোগ পেলেই বিঁধছেন প্রতিদ্বন্দ্বীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy