প্রায় সুনসান প্যারিসের অদূরে লা ডিফেন্স শহর। ছবি: এএফপি
ইটালির পর এ বার ফ্রান্স। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে ইউরোপের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ‘লকডাউন’ ঘোষণা হল ফ্রান্সেও। সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ আপাতত ৩০ দিন নাগরিকদের ‘ঘরবন্দি’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনা আক্রান্ত ২১ জনের মৃত্যু এবং ১২০০ জনেরও বেশি নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি এই ঘোষণা করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরনো যাবে না। নিয়ম ভাঙলে শাস্তির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঘোষণায়।
চিনের পর করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ইটালিতে। ইউরোপের মধ্যে এ বার ফ্রান্সে ভয়াবহ গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা প্রকোপ। দেশে এখনও পর্যন্ত ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে আক্রান্ত ৬৬৩৩ জন। রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ১২১০ জন। এর মধ্যে অবশ্য চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ জন। সংক্রমণ রুখতে আগে থেকেই স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ-পানশালা সব বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু যে ভাবে ঝড়ের গতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে, তা উদ্বেগজনক। সেই সঙ্গে ইটালির শিক্ষা নিয়ে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি ফরাসি প্রশাসন। জাতির উদ্দেশে ২২ মিনিটের ভাষণে ম্যাক্রঁ বলেন, ‘‘অত্যন্ত কঠোর ভাবে অন্তত ১৫ দিনের জন্য চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ জারি করা হচ্ছে।’’ সামাজিক বা পারিবারিক জমায়েতও নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে তিনি জানান, শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটা, ওষুধ কেনা বা হাসপাতালে যাওয়া, কর্মক্ষেত্রে যাওয়া-আসা ছাড়া বাইরে বেরনো যাবে না।
আরও পড়ুন: করোনার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার? পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু আমেরিকায়
ফরাসি প্রেসিডেন্টের পরে সেখানকার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ক্রিস্টোফি কাসনার বলেন, বাইরে বেরোলে সেটা যে জরুরি প্রয়োজনে, তা প্রমাণ করার জন্য অবশ্যই নথি রাখতে হবে। এ ছাড়া এই নয়া নিয়ম কার্যকর করার জন্য ১ লক্ষ নিরাপত্তা কর্মী রাস্তায় মোতায়েন করা হচ্ছে। যাঁরা এই গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের ১৩৫ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আরও পডু়ন: বাস-ট্রামে দিচ্ছে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজর’ ।। টাকা লেনদেনে মেট্রো কর্মীদের গ্লাভস পরার নির্দেশ
অন্য দিকে মঙ্গলবার থেকেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সমস্ত সীমান্ত কার্যত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে সমস্ত সীমান্ত। তবে ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলির নাগরিকদের নিজের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy