মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড মেডিক্যাল সেন্টার থেকে বেরোনোর মুখে হাত নাড়ছেন প্রেসিডেন্ট। ছবি: এএফপি।
তিন দিনের মধ্যে দু’বার অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছিল তাঁর। প্রথম বার অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছিল বলেও সূত্রের খবর। অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভিয়ারের দু’টো ডোজ়ের পাশাপাশি একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্টিজেন ককটেল দেওয়া হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। বাধ্য হয়েই শুরু হয়েছে স্টেরয়েড চিকিৎসা। নিয়মমাফিক চালু রয়েছে ভিটামিন ডি, জ়িঙ্ক, ফ্যামোটিডিন, অ্যাসপিরিনও। তবু এরই মধ্যে তিনি গত কাল বেরিয়ে পড়লেন হাসপাতাল থেকে। এক চক্কর ঘুরে এলেন গাড়িতে। দেখা গেল, এসইউভি-র বুলেট-প্রুফ কাচের আড়াল থেকে হাসপাতালের বাইরে জমায়েত ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন প্রেসিডেন্ট!
ভোটের মাসখানেক আগের এই ঘটনাকে ট্রাম্প-শিবির ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ়’ বলে চালাতে চাইলেও, চিকিৎসকদের একাংশ কিন্তু ট্রাম্পের এই আচরণে বিরক্ত। প্রেসিডেন্ট নিজেই কোভিড-প্রোটোকল ভেঙেছেন বলে অভিযোগও আনলেন অনেকে। হাসপাতালে ট্রাম্পের চিকিৎসায় নিযুক্ত চিকিৎসক জেমস পি ফিলিপস বলে দিলেন, ‘‘পুরোটাই রাজনীতির নাটক। নেহাতই পাগলামি। এ ভাবে দুম করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মোটেই ঠিক করেননি প্রেসিডেন্ট। তাঁর সংস্পর্শে আসা সিক্রেট সার্ভিসের সবাইকে ১৪ দিনের কোয়রান্টিনে যেতে হবে। তাঁরা অসুস্থ হতে পারেন, মৃত্যুও হতে পারে। কে দায় নেবে!’’
হোয়াইট হাউসের যদিও দাবি, প্রত্যেক সাপোর্ট স্টাফের জন্য যথাযথ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেই এ দিন বাইরে বেরোন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই ঝটিকা-সফরের আগে মিলিটারি হাসপাতালের মেডিক্যাল টিমও আপত্তি করেনি বলে দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: গুরুত্ব না দেওয়ার ফল, ট্রাম্পের করোনা সংক্রমণ নিয়ে খোঁচা বেজিংয়ের
আরও পড়ুন: কলকাতায় থাকলেও ট্রাম্পকে রেমডেসিভিরই দিতেন, বলছেন চিকিৎসকরা
পরে ট্রাম্প নিজে টুইট করে জানান, স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধে সাড়ে ছ’টায় তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবেন। হোয়াইট হাউসে ফিরে যাবেন। ওষুধবিষুধ খেয়ে ভাল আছেন, ২০ বছর আগের মতো টগবগে হয়ে গিয়েছেন! জনতার উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ‘‘করোনাকে আপনাদের জীবনের রাশ হাতে নিতে দেবেন না!’’
অথচ শনিবারও কিন্তু সুর অন্য রকম ছিল। ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আগামী ক’টা দিন ‘আসল পরীক্ষা’। রবিবার ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘‘স্কুলে ভর্তি হয়েছি বলে করোনা নিয়ে এখন অনেক কিছুই জানি। আগের চেয়ে ধারণা অনেকটাই স্পষ্ট।’’ তার পরেই ঘোষণা— ‘যাই, ভক্তদের একটু চমক দিয়ে আসি। ’
এ সব কি শুধুই ভোটের টানে! জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ট্রাম্প। তার উপর করোনা-আক্রান্ত হওয়ার কারণে প্রচারও মাথায় উঠেছে। অনেকে বলছেন, সব মিলিয়ে ভোটের মুখে তৈরি হওয়া হতাশার জন্যই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করলেন প্রেসিডেন্ট। তবু মাস্কটা অন্তত পরছেন! তবে অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘যা হবে, দেখা যাবে’— এই মনোভাব ট্রাম্পের মজ্জায় মজ্জায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy