গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মৃতের সংখ্যার নিরিখে ইটালিকে ছাপিয়ে গেল আমেরিকা। নতুন করে ১৩৮৮ জনের প্রাণহানিতে এক ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০,১৩৫। ইটালিতে মৃত্যু তুলনায় কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা এ দেশে ১৯,৪৬৮।
এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল হচ্ছে ইউরোপের একাংশে। একটা-দু’টো করে দোকান খুলেছে চেক প্রজাতন্ত্রে। লোকজন সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন রাস্তায়। কেউ কেউ টেনিস খেলতে যাচ্ছেন। সুইমিং পুলে এক-দু’জন লোক। একই ছবি অস্ট্রিয়াতেও। ডেনমার্ক সরকার জানিয়েছে, দেশের পরিস্থিতি এ রকমই থাকলে সামনের সপ্তাহ থেকে খুলে দেওয়া হবে স্কুল। চিনে ইতিমধ্যেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ইরানেও আগামী সপ্তাহ থেকে সরকারি দফতরগুলোয় কাজ শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু চিন্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তারা জানিয়েছে, সময়ের আগে লকডাউন তুলে নিলে দাম চোকাতে হবে মানুষকে। হয়তো ব্যাপক ভাবে ফিরে আসবে মারণ ব্যাধি।
নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লি, গৃহবন্দি কয়েকশো কোটি মানুষ। গোটা বিশ্বে থমকে ব্যবসাবাণিজ্য। ১৭ লক্ষ লোক সংক্রমিত। মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৬ হাজারেরও বেশি। সব চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইউরোপের, বিশেষ করে ইটালি, স্পেন, ফ্রান্সের। ফ্রান্সেও শুক্রবার হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটেন থেকে নতুন করে ৯৮০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে বর্তমানে করোনার ভরকেন্দ্র আমেরিকা। সংক্রমণের রেখা সেখানে ঊর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার ১৭০০ জন মারা যান ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে। শুক্রবার ২১০৮ জন। আর আজ ১৩৮৮ জন। পরপর তিন দিনে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে সেখানে। মার্কিন মুলুকে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৪০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূতের মৃত্যু হয়েছে। করোনা পজ়িটিভ দেড় হাজারেরও বেশি ভারতীয়-মার্কিন।
করোনা-চিত্র
মৃত ১,০৮,১২৪
আক্রান্ত ১৭,৬৬,৮৫৫
সুস্থ ৪,০০,৭০৮
রেকর্ড মৃত্যু আমেরিকায়। ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ২১০৮ জন। মোট মৃত্যু ১৮,৭৬১।
প্রথম স্থানে আমেরিকা। ছাপিয়ে গেল ইটালিকে। মোট মৃত ২০,১৩৫ জন।
দ্বিতীয় স্থানে ইটালি। মৃত ১৯,৪৬৮ জন।
লকডাউন শিথিল হচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ইরানে।
ভয়ে হু। তাদের কথায়, ‘‘সময়ের আগে নিষেধাজ্ঞা তুললে দাম দিতে হবে।’’
কিন্তু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যখন প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে, আমেরিকা ও ইউরোপের সরকারি স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, সংক্রমণের রেখাচিত্র সরল হতে শুরু করেছে। তাদের বক্তব্য, দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটা কমেছে। এ দাবি সমর্থন জানিয়ে স্পেন বলেছে, দিন প্রতি মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে তাদের দেশে। শনিবার নিয়ে তিন দিন হল গড়ে ৫১০ জন করে মারা গিয়েছেন স্পেনে। মোট ১৬,৩৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এ দেশে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘আমি জানি, বেশ কিছু দেশ বাড়িতে থাকার নিয়ম শিথিল করার কথা ভাবছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর বিরোধী নয়। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে, তাড়াতাড়ি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তার মারাত্মক পরিণতি হতে পারে। বিশেষ করে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy