‘এক দেশ এক ভোট’ আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে যে দু’টি বিল লোকসভায় পেশ করা হয়েছে, সেগুলির খসড়া নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে গঠিত সংসদের যৌথ কমিটির প্রথম বৈঠক হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। সরকারি সূত্রের উল্লেখ করে প্রকাশিত খবরে সোমবার এ কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, রাজস্থানের পালি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রেমপ্রকাশ চৌধরি (পিপি নামে যিনি পরিচিত) ওই কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। সাধারণত লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংদসদের নিয়ে গঠিত এ ধরনের যৌথ কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩১ হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সাংসদ সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৯ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দেশ জুড়ে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করার লক্ষ্যে গত ১৭ ডিসেম্বর লোকসভায় দু’টি বিল পেশ করেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। যার মধ্যে একটি বিল ছিল দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট করা নিয়ে। দ্বিতীয়টি একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করতে প্রয়োজনীয় ১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল।
আরও পড়ুন:
বিরোধীদের বড় অংশ গোড়া থেকেই এক দেশ এক ভোট নীতির বিপক্ষে। তাই মঙ্গলবার বিল পেশেই আপত্তি জানান বিরোধী সাংসদেরা। শেষ পর্যন্ত বিরোধী পক্ষের তোলা ‘ডিভিশনের’ দাবি মেনে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশ নিয়ে ভোটাভুটি হয় লোকসভায়। পক্ষে ২৬৯, বিপক্ষে ১৯৮টি ভোট পড়ে। সে সময়েই বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য জেপিসি-তে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
‘এক ভোট’ কমিটিতে এনডিএ-র ২২ জন, ‘ইন্ডিয়া’র ১৫ জন এবং বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের এক জন করে সাংসদ জায়গা পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়েনাড়ের সদ্যনির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা বঢরা। বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, পুরুষোত্তম রূপালা এবং প্রয়াত বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা বাঁশুরিও রয়েছেন কমিটিতে। সূত্রের খবর, সংবিধান সংশোধনী বিল হওয়ায় সরকারের লক্ষ্য ছিল যত বেশি সম্ভব দলের সাংসদদের ওই কমিটিতে স্থান দেওয়া। যাতে সব পক্ষের মতামত কমিটিতে উঠে আসে। সে কারণেই আট জন সদস্য বাড়ানো হয়। তাঁর মধ্যে সরকার পক্ষের চার এবং বিরোধী শিবিরের চার জন রয়েছেন।