Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

নতুন করে সংক্রমিত ৬, পাঁচ দিনে শহরের ৯৪ লক্ষের করোনা পরীক্ষা করতে চলেছে চিন!

আমেরিকা ও ভারতের মতো দেশে আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৭০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে, চিন মোট সংক্রমণ ১ লক্ষের নীচে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

সোমবার শ্যাংদংয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে হাজির সাধারণ মানুষ। ছবি: এএফপি।

সোমবার শ্যাংদংয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে হাজির সাধারণ মানুষ। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:২৫
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০ দিনে একটা আস্ত হাসপাতাল গড়ে তুলেছিল তারা। এ বার পাঁচ দিনে ৯০ লক্ষের বেশি মানুষের কোভিড পরীক্ষা করতে চলেছে চিন। চিনের এক শহরে নতুন করে কয়েক জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। তাতেই একেবারে প্রায় এক কোটি মানুষের করোনা পরীক্ষা করতে চলেছে তারা।

দেশের রাজধানী বেজিং থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত উপকূলবর্তী চিংদাও শহরে রবিবার পর্যন্ত নতুন করে ছয় জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। সন্ধান মিলেছে ছয় উপসর্গহীন রোগীরও। এর মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই চিংদাও চস্ট হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

তাতেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বেজিং। তাই চিংদাও শহরের ৯৪ লক্ষ জনসংখ্যার প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সোমবার চিংদাও পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, তিন দিনে শহরের তিন জেলার বাসিন্দাদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ করে করে ফেলা হবে। সব মিলিয়ে গোটা শহরের করোনা পরীক্ষা করে ফেলা হবে পাঁচ দিনের মধ্যেই।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬৬ হাজার, সক্রিয় রোগী কমে ৮.৬১ লক্ষ​

দ্রুত করোনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে চিনের কাছে। জুন মাসে বেজিংয়ে একটি বাজার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে, সেখানে গণ হারে ২ কোটি মানুষ‌ের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তাতেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়। চিংদাওয়ে কর্মরত চিকিৎসাকর্মী, হাসপাতালে ভর্তি রোগী মিলিয়ে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার পুরসভা।

গত বছরের শেষ দিকে চিনের উহানেই প্রথম হানা দেয় নোভেল করোনাভাইরাস। তার পর গোটা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে। তার জন্য শুরু থেকেই তাদের দোষারোপ করে আসছে আমেরিকা। যদিও চিনের দাবি, উহানের ঢের আগেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। তারাই প্রথম ভাইরাসটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

আমেরিকা ও ভারতের মতো দেশে আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ৭০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে, চিন এখনও পর্যন্ত মোট সংক্রমণ ১ লক্ষের নীচে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে। স‌েখানে জনজীবনও এই মুহূর্তে স্বাভাবিকই। তবে চিংদাওকে বাদ দিলেও ১১ অক্টোবর পর্যন্ত চিনের মূল ভূখণ্ডে ২১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানিয়েছে সে দেশের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন (এনএইচসি)। উপসর্গহীন কোভিড পজিটিভদের রোগী হিসেবে ধরে না চিন। সেই সংখ্যাটাও বেড়ে ৩২ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: দলেই বিপ্লবের মুখে বিপ্লব, নালিশ জানাতে দিল্লি দরবারে সুদীপ​

কোথায় কত জন উপসর্গহীন রোগী রয়েছে, তা যদিও খোলসা করেনি এনএইচসি, তবে সরকারি বিধিনিষেধ না থাকায় ছুটির মরসুমে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের ঢল নামে। আবার বিদেশ থেকেও ফিরেছেন বহু মানুষ। তার জেরেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে ধারণা সে দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy