ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল প্রায় ১০ জন পুলিশের একটি দল। ছবি: সংগৃহীত
পাশের বাড়ির ময়লা ফেলার পাত্রে পড়ে রয়েছে একটি মৃতদেহ। কালো ব্যাগে দেহটি বাঁধা হলেও স্পষ্ট তার ঘাড়, মাথা, দু’টি পায়ের আদল। উঁকি ঝুঁকিতে সেই দৃশ্য দেখে আতঙ্কেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে দেখল, দেহ নয়, মরদেহের ব্যাগে তুলো ভরা। স্রেফ লোক ঠকানোর জন্য। গত বছর হ্যালোইনের আগে বাড়িতে আসা অতিথিদের ভয় দেখানোর জন্য ওই ‘মৃতদেহ’ তৈরি করেছিলেন বাড়ির মালিক।
ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল প্রায় ১০ জন পুলিশের একটি দল। ‘মৃতদেহ’ পরীক্ষা করতে গিয়ে রীতিমতো অপদস্থ হন তাঁরা। অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন পুলিশ খবর দেওয়া পড়শিরাও।
বাড়ির মালিক কারা লুইস জানিয়েছেন, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ফিরে এসে দেখেন তাঁর বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে দু’টি পুলিশের গাড়ি। পরে আর এক দল পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদও করে তাঁকে। কারাকে তাঁদের বোঝাতে হয় যে তিনি সত্যিই কাউকে হত্যা করেননি।
কারা জানিয়েছেন, হ্যালোইনের জন্য তৈরি করা ওই ‘প্রপ’ বা ঠকানোর জিনিসটি তাঁর ছেলের বিশেষ পছন্দের। তাই বাগানেই রাখা থাকত সেটি। দিন কয়েক আগে বাগানের পরিচর্যার সময় মনের ভুলেই সেটি আবর্জনার পাত্রে রেখে দিয়েছিলেন। তারপর আর সেখান থেকে সরানো হয়নি।
কারার কথায়, ‘‘গোটা ঘটনাটিতে আমি আর আমার প্রতিবেশীরা তো মজা পেয়েছিই। আমার সৌভাগ্য যে পুলিশও বিষয়টি ঠাট্টাচ্ছলেই নিয়েছে।’’
যদিও নেটমাধ্যমে বিযয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর নেটাগরিকরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পুলিশ দেহটি ঠিক করে পরীক্ষা করেছিল তো! বলা যায় না, হাসি ঠাট্টার আড়ালে হয়তো সত্যিকারের কোনও অপরাধ ঢাকা পড়ে গেল’।
কারা অবশ্য জানিয়েছেন, এখন থেকে আর ওই ‘দেহ’ বাইরে ফেলে রাখবেন না তিনি। আড়ালেই রেখে দেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy