ছবি সংগৃহীত
পূর্বসূরির পথে হাঁটলেন না আদপেই। হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে নিয়ে ঠাট্টার জবাবে কটূক্তি তো দূরের কথা, পাল্টা রসিকতা ছুড়ে দিলেন সঞ্চালকের দিকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই ‘খেলোয়াড়োচিত’ আচরণে মুগ্ধ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে। নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অনুষ্ঠানের সেই অংশ।
হোয়াইট হাউসে নিয়মিত যে সাংবাদিকেরা উপস্থিত থাকেন, গত কাল তাঁদের সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল। ‘হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর এই নৈশভোজ-অনুষ্ঠানে এ বারের সঞ্চালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়া-কে। তিনিই প্রেসিডেন্টকে নিয়ে একের পর এক রসিকতা করতে থাকেন। তাঁর পাশে তখন বসে খোদ বাইডেন। প্রতিটি রসিকতা শুনেই মুচকি হেসেছেন প্রেসিডেন্ট। অনুষ্ঠানের শেষে, প্রেসিডেন্টের হাতে মাইক তুলে দেওয়ার আগে নোয়া বলেন, ‘‘আপনাকে নিয়ে অনেক রঙ্গ-রসিকতা করলাম প্রেসিডেন্ট। এর পর আমার কিছু হবে না তো!’’
এই নৈশভোজের প্রথা অনুযায়ী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার কথা প্রেসিডেন্টেরও। নোয়া-র ওই মন্তব্যের পরেই বাইডেন বলেন, ‘‘কোনও চিন্তা নেই। আপনি প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে যা খুশি বলতে পারেন, আপনার কিছু হবে না। এটা তো আর পুতিনের রাশিয়া নয় যে, আপনাকে জেলে পুরে দেওয়া হবে!’’ রুশ প্রেসিডেন্টকে খোঁচা দেওয়া বাইডেনের এই মন্তব্য উপস্থিত সকলের যে খুব পছন্দ হয়েছে, তা মালুম হয় হাততালি ও হাসির ফোয়ারায়। প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করে এখন জেল খাটছেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা তথা মানবাধিকার কর্মা অ্যালেক্সেই নাভালনি। বাইডেন আরও বলেন, ‘‘চারপাশে কী ঘটে চলেছে তা সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকেরা সাহসিকতার সঙ্গে, প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যে ভাবে রিপোর্টিং করে যাচ্ছেন, তার জন্য তাঁদের অভিবাদন জানাই।’’ নোয়া-ও পাল্টা বলেন, ‘‘আমেরিকায় সাংবাদিকরা যে ভাবে কাজের স্বাধীনতা পান তা থেকে স্পষ্ট যে, এ দেশে গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রয়েছে।’’
ছ’বছর পরে এই প্রথম হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকদের নৈশভোজে উপস্থিত থাকলেন কোনও প্রেসিডেন্ট। অতিমারির জন্য গত দু’বছর অনুষ্ঠান হয়নি। আর তার আগে, তাঁর চার বছরের জমানায়, এই অনুষ্ঠান সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনিতে ক্যামেরার সামনে আসতে বরাবরই যথেষ্ট আগ্রহী ট্রাম্প। কিন্তু এই নৈশভোজে কখনও তাঁকে দেখা যেত না। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ হোয়াইট হাউসের আধিকারিকদের মতে, এই নৈশভোজ-অনুষ্ঠানের মূল সুর রসিকতা এবং নিজেকে নিয়ে উপহাস কখনওই সহ্য করতে পারতেন না দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট! সেই প্রসঙ্গ তুলে বাইডেন তাঁর বক্তৃতায় ট্রাম্পকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তিনি বসলেন, ‘‘ভাবুন এক বার, আমার পূর্বসূরি যদি আজকের এই অনুষ্ঠানে থাকতেন! কী দারুণ খবর হত সেটা।’’
প্রেসিডেন্টকে রসিকতায় ‘বিদ্ধ’ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বাইডেন ও হোয়াইট হাউসের সব কর্মীকে পরে টুইটারে ধন্যবাদ জানান কমেডিয়ান নোয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy