Colourful Art can be seen on manhole covers in Japan dgtl
International Gallery
ম্যানহোলের ঢাকনা রাঙিয়ে সকলকে অবাক করছে জাপান
বাড়ির দেওয়ালে গ্রাফিতি করা বা রাস্তার ধারে ম্যুরাল আঁকা তো দেখেছেন। তবে সেই শিল্পকর্মই যদি দেখা যায় রাস্তায় শুয়ে থাকা ম্যানহোলের ঢাকনায়! এমনটাই দেখা যাচ্ছে জাপানে। দেওয়াল বা রাস্তার কোনা ছাড়িয়ে এ বার রংবেরঙের শিল্পকর্মে ম্যাড়মেড়ে ম্যানহোলের ঢাকনাগুলিও বহন করছে শিল্পীর কল্পনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:০৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
বাড়ির দেওয়ালে গ্রাফিতি করা বা রাস্তার ধারে ম্যুরাল আঁকা তো দেখেছেন। তবে সেই শিল্পকর্মই যদি দেখা যায় রাস্তায় শুয়ে থাকা ম্যানহোলের ঢাকনায়! এমনটাই দেখা যাচ্ছে জাপানে। দেওয়াল বা রাস্তার কোনা ছাড়িয়ে এ বার রংবেরঙের শিল্পকর্মে ম্যাড়মেড়ে ম্যানহোলের ঢাকনাগুলিও বহন করছে শিল্পীর কল্পনা।
০২১২
দেওয়াল বা ঘরবাড়ি ছাড়িয়ে এ বার জাপানের রাস্তায় ম্যানহোলের ঢাকনাগুলিও নজর কাড়ছে উৎসাহীদের। ম্যানহোলে আঁকা বহুমুখী শিল্পকর্ম দেখতে সুদূর প্রান্ত থেকেও অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন জাপানের বিভিন্ন শহরে।
০৩১২
গত শতকের পাঁচের দশক থেকেই জাপানে নানা ধরনের জ্যামিতিক আকারের ওই ঢাকনাগুলি তৈরি করা হয়েছিল। জাপানের শহরের নামেই সে সব ডিজাইনের এক একটা নামকরণ করা হয়েছিল। যেমন, ‘টোকিয়ো’ বা ‘নাগোয়া’।
০৪১২
শিল্পীর তুলিতে রঙের টান মেরে ম্যানহোলের ঢাকনার ভোলবদল করার এই আইডিয়া আসলে জাপানের এক আমলা ইয়াসুতাকে কামেদার। ১৯৮৫ সাল থেকে ওই আইডিয়াকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার শুরু হয়। মূলত, শহুরে বাসিন্দাদের ব্যয়বহুল অথচ আধুনিক নিকাশি ব্যবস্থার গুরুত্ব বোঝাতেই এমন ভাবনা মাথায় আসে কামেদার।
০৫১২
শুরুটা সাদামাটা ভাবে হলেও ম্যানহোলের ঢাকনায় এই শিল্পকর্ম জাপানের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে।
০৬১২
ঠিক কী কী আঁকা হচ্ছে ওই ম্যানহোলের ঢাকনাগুলিতে? সাধারণত, শহরের প্রতীক চিহ্ন, স্থানীয় এলাকার কোনও ঘটনা বা ফুল অথবা পাখির আকার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাতে। যেমন, টোকিয়োর উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের পাহাড়ি এলাকার শহর তাকাসাকিতে যে সব ম্যানহোল রয়েছে, তার ঢাকনায় ফুটে উঠেছে সে জায়গার জনপ্রিয় বাজি উৎসব।
০৭১২
ফুকায়া শহরে আবার দেখা যায়, সেখানকার স্থানীয় ম্যাসকট খরগোশ-হরিণের সহাবস্থান। কোথাও আবার কার্টুন চরিত্রও ঠাঁই পেয়েছে ঢাকনার গায়ে। টোকিয়োর তামা ওয়ার্ডে দেখা মিলছে ‘হ্যালো কিটি’ নামের এমন এক কার্টুন চরিত্রের।
০৮১২
শুধুমাত্র ফুল-পাখি বা কার্টুন চরিত্রই নয়, কোনও কোনও ম্যানহোলের ঢাকনায় চোখে পড়ে হিরোশিমা কার্প বেসবল টিমের লোগোও।
০৯১২
এ ধরনের ম্যানহোলে ঠিক কী কী আঁকা হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নীতি নেই প্রশাসনের। ফলে ম্যানহোলের কাছাকাছি এলাকার কোনও থিম পার্ক বা স্টেডিয়ামের ছবিও ফুটে উঠতে তাতে।
১০১২
সাধারণত, ম্যানহোলের গায়ে অ্যালুমিনিয়ামের প্রলেপের উপর স্যান্ড মোল্ড দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এ ধরনের নানা ডিজাইন। জাপানের ১,৭১৮টি পুরসভার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকার ম্যানহোলই এ মুহূর্তে ভরে গিয়েছে বিভিন্ন ছবিতে।
১১১২
এক একটি ম্যানহোলের ঢাকনা এ ধরনের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলতে খরচ পড়ছে ৫৮৫ ডলারের কাছাকাছি। তবে ঢাকনাগুলিতে শিল্পীর তুলিতে নানা রং জোড়া হলে তার খরচ বে়ড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৯০০ ডলারেরও বেশি।
১২১২
ম্যানহোলের ঢাকনা রং করার এই ট্রেন্ড জাপানে এতটাই জনপ্রিয় যে এ নিয়ে সংগঠনও গড়ে উঠেছে। এ ধরনের শিল্পকর্মের গুণমুগ্ধরা আবার ওয়েবসাইটও খুলে ফেলেছেন। তাতে ম্যানহোলের ঢাকনার ছবি তুলে তা পোস্ট করছেন তাঁরা। টোকিয়োতে তো গত ফেব্রুয়ারিতে ম্যানহোল ফেস্টিভ্যালও হয়ে গেল!