চিনা পণ্যের উপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার থেকেই নতুন হারে শুল্ক কার্যকর হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এই সঙ্কট কী ভাবে মোকাবিলা করবে চিন? যদিও ওয়াশিংটনের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে ভীত নয় বেজিং। বুধবার চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জানান, যে কোনও ধরনের নেতিবাচক বহিরাগত ধাক্কা সামাল দিতে বেজিঙের কাছে ‘সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিপূরণ’ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত নীতিগত সরঞ্জাম রয়েছে। উল্লেখ্য, আমেরিকার শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পরই ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়নের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনের প্রধানমন্ত্রীর।
লি জানান, বেজিং দেশের সুস্থ এবং টেকসই অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বজায় রাখার বিষয়ে দৃঢ় ভাবে আত্মবিশ্বাসী। একই সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কনীতির তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, আমেরিকা নিজের স্বার্থরক্ষা করতে এমন ভাবে শুল্ক চাপিয়েছে। তবে চিন শুধু নিজের স্বার্থের কথা ভাববে না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম রক্ষা করাই প্রাধান্য পাবে! ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বানও জানিয়েছেন চিনের প্রধানমন্ত্রী।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঠেকাতে তারা যে প্রস্তুত, তা বার বার বুঝিয়ে দিচ্ছে বেজিং। তারা জানিয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের বিরুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে’। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমান্তরাল আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য এবং অর্থনেতিক বিরোধের নিরসন ঘটানোর চেষ্টা করছে বেজিং। অন্য দিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, চিন যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তবে ‘দয়ালু’ হতে পারেন।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল চিনের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসানোর কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। সেই ঘোষণার পাল্টা হিসেবে গত শুক্রবার একই হারে আমেরিকা থেকে আসা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কথা জানায় বেজিং। তবে তাতেও দমেননি ট্রাম্প। সোমবার তিনি হুমকি দেন, মঙ্গলবারের মধ্যে চিন শুল্ক না তুললে বুধবার থেকে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপবে তাদের পণ্যে। পাশাপাশি, চিনের সঙ্গে কোনও ধরনের বৈঠকে বসার আর্জিও খারিজ করা হবে। তার পরও চিন কোনও নমনীয় মনোভাব দেখায়নি। তারা জানায়, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে। চিন শুল্ক না কমানোয় বুধবার থেকেই তাদের উপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই পরিস্থিতিতে চিন কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখতে চাইছেন বিশেষজ্ঞেরা।