প্রতীকী ছবি।
হাওয়ালা কাণ্ডে গ্রেফতার এক চিনা নাগরিকের বিরুদ্ধে এ বার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও উঠল। আয়কর দফতর তদন্তের পরে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, লুও স্যাং নামে এই বিদেশি বহু তিব্বতি লামাকে নিয়মিত ঘুষ দেন। গোয়েন্দারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, দিল্লির মঞ্জু-কা-টিলা এলাকার বাসিন্দা এই সব লামারা। সম্ভবত দলাই লামার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর পেতেই তাঁদের ঘুষ দিতেন লুও।
বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার নামে চিনে প্রায় হাজার কোটি টাকা সরানোর দায়ে লুওকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৪-য় নেপাল হয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে লুও মিজোরামের এক মহিলাকে বিয়ে করে দিল্লিতে বসবাস করতে থাকেন। মণিপুর থেকে বানানো একটি জাল পাসপোর্টের দৌলতে চার্লি পেং নাম নিয়ে তিনি আধার ও প্যান কার্ডও করিয়ে নেন।
দিল্লিতে রীতিমতো অফিস চালাতেন লুও। তাঁর কর্মচারীদের মাধ্যমেই টাকা পৌঁছে যেত লামাদের কাছে। পারস্পরিক যোগাযোগ রাখা হতো চিনা অ্যাপ ‘উই চ্যাট’-এ। আয়কর দফতর জানিয়েছে, কর্মীরা টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা তাঁদের কাছে স্বীকার করেছেন।
তদন্তে বেশ কিছু ভারতীয় ব্যাঙ্কে অজস্র অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে লুওর। আয়কর দফতরের তরফে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সব অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ভুয়ো চিনা সংস্থার নামে বরাত ও রফতানির টাকা লেনদেন হতো বলে দাবি আয়কর অফিসারদের। গত সপ্তাহে দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু সংস্থায় তল্লাশি চালায় রাজস্ব বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy