মার্কিন রণতরীর পাল্টা এ বার চিনের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল দক্ষিণ চিন সাগরের উত্তাপ। ওয়াশিংটন আর বেজিংয়ের মধ্যে কথা চলছে। কিন্তু, তার মাঝেই দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে এখন চলছে কড়া হুঁশিয়ারি আর পাল্টা চোখরাঙানির বিনিময়।
বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাসেনকে দক্ষিণ চিন সাগরে পাঠিয়ে শি জিনপিংয়ের উপর চাপ বাড়িয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু প্রতিপক্ষ যেখানে চিন, সেখানে কি এত সহজে ওয়াকওভার পাওয়া সম্ভব আমেরিকার পক্ষে? সাবমেরিন থেকে অতর্কিতে আক্রমণ চালানোর জন্য দক্ষিণ চিন সাগরে অত্যাধুনিক ওয়াইজে-১৮ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল বেজিং। ক্ষেপণাস্ত্র হানা রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা মার্কিন রণতরীতে রয়েছে। কিন্তু, চিনের এই নতুন সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শেষ মুহূর্তে গতিবেগ এমন তীব্র করে নেয় যে রেডারের পক্ষেও তার অবস্থান নির্ণয় প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
ওয়াইজে-১৮ ক্ষেপণাস্ত্র ২৯০ নটিক্যাল মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। যখন সমুদ্রে ডুবে থাকা সাবমেরিন থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়, তখন এর গতিবেগ থাকে ঘণ্টায় প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার। অর্থাৎ শব্দের বেগের চেয়ে সামান্য কম। কিন্তু, সেই সময় বিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্রের নাগালের বাইরে থাকে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সমুদ্রপৃষ্ঠের কয়েক মিটার উপর দিয়ে ছুটতে থাকা এই ক্ষেপণাস্ত্র বিপক্ষের জাহাজের ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছেই আচমকা গতি বাড়িয়ে নেয়। তখন শব্দের গতিবেগের চেয়ে তিনগুণ বেগে ছুটতে থাকে ওয়াইজে-১৮। এই তীব্র বেগের কারণে বিপক্ষের রণতরীতে থাকা রেডার ঠিক মতো নির্ণয় করতে পারে না ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থান। ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েও সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানা সম্ভব হয় না। ফলে ওই ক্ষেপণাস্ত্রকে থামানো যায় না। অর্থাৎ যে রণতরীকে লক্ষ্য করে ওয়াইজে-১৮ ছোঁড়া হয়, তার ধ্বংস প্রায় নিশ্চিত।
মার্কিন রণতরী চিনের ১২ নটিক্যাল মাইল এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়ার পর একের পর এক চিনা সাবমেরিনে এই ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র চিনা সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে শুরু করায়, যুদ্ধের আবহ আরও তীব্র হয়েছে। চিনের এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে আমেরিকা এতটাই উদ্বিঘ্ন য়ে মার্কিন কংগ্রেসেও বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মোকাবিলার কৌশলও খুঁজতে শুরু করেছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ খবর পেয়েছে, চিনা নৌবাহিনীর কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল পরিকাঠামো এখনও খুব উন্নত হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে আক্রমণ চালালেও পাল্টা আক্রমণে এক বার চিনের কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল পরিকাঠামোর ক্ষতি করে দিতে পারলেই আর সহজে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না চিন। ফলে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে কাজে লাগাতেও পারবে না তারা। চিনের সেই দুর্বলতার কথা মাথায় রেখেই কৌশল সাজাচ্ছে পেন্টাগন।
আমেরিকা নাক গলাল কেন? এ বার ফিলিপিন্সকে শাসাল চিন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy