কাবুলে চিনা রাষ্ট্রদূত ঝাও। — ফাইল চিত্র।
তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করল চিন। কিছু দিন আগে কাবুলের চিনা দূতাবাসে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসাবে কূটনীতিক ঝাও শেংকে নিযুক্ত করেছিল প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। তালিবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখু্ন্দের সঙ্গে সৌজন্য-সাক্ষাতও করেছিলেন ঝাও। এ বার বেজিংয়ের আফগান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসাবে তালিবান সরকার নিযুক্ত বিলাল করিমিকেও স্বীকৃতি দিল চিন।
গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে আড়াই বছর আগে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পায়নি তালিবান সরকার। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই তাদের স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে চিনই প্রথম কাবুলের মৌলবাদী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করল। দক্ষিণ এশিয়ার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তাদের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনীকি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, গত আড়াই দশকে বদলে গিয়েছে বিশ্ব রাজনীতি। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত ২৫ বছরে ভোলবদল হয়েছে চিনের। ১৯৯৬ সালে যখন তালিবান আফগানিস্তান দখল করেছিল তখন তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি চিন। অথচ ২০২১-এর অগস্টে দ্বিতীয় বারের জন্য আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরেই দ্রুত সেই সরকারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়েছিল জিনপিং সরকার। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হল। যদিও চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, তালিবান শাসনকে তারা স্বীকৃতি দেয়নি। কেবলমাত্র আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy