Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

লুকিয়ে পরমাণু পরীক্ষা চিনে: মার্কিন রিপোর্ট 

এমনিতেই কোভিড-১৯ নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৪:০৯
Share: Save:

বিশ্বব্যাপী করোনা-সংক্রমণ নিয়ে চিনের দিকে আঙুল উঠেছে আগেই। এ বার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আন্তর্জাতিক চুক্তি ভেঙে ভূগর্ভে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর। মার্কিন বিদেশ দফতরের এই রিপোর্টে আমেরিকা-চিন চাপানউতোর আরওই প্রকট হল।

এমনিতেই কোভিড-১৯ নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে। গত কাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কে আর্থিক সহায়তা করা বন্ধ করে দেবে আমেরিকা। চিনের প্রতি হু-এর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, চিনের উহানে করোনা সংক্রমণের সময়ে যথেষ্ট তৎপর হয়নি বেজিং। তার মাসুল গুণছে বিশ্ব। গোটা বিষয়ে হু-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন ট্রাম্প। জানান, যত দিন না অতিমারি পরিস্থিতিতে হু-র অব্যবস্থার তদন্ত হচ্ছে, তত দিন অর্থসাহায্য দেওয়া হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বছর ৫০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হয় হু-কে। এর মধ্যে ৪০ কোটি ডলারই আসে মার্কিন নাগরিকদের দেওয়া কর থেকে। ’’ মনে করিয়ে দিয়েছেন, হু-কে আমেরিকার দশ ভাগের এক ভাগ আর্থিক সহায়তা করে চিন।

সম্প্রতি একটি মার্কিন টিভি চ্যানেল একাধিক তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দাবি করেছে, উহানের একটি গবেষণাগার থেকে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়ায়। যথেষ্ট নিরাপত্তা না-নেওয়ায় এই বিপর্যয়। প্রথমে গবেষণাগারের এক ইনটার্ন সংক্রমিত হন। তার পরে মেয়েটির থেকে তাঁর প্রেমিক আক্রান্ত হন। গত কাল সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন ওই চ্যানেলেরই সাংবাদিক জন রবার্টস। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এখনই কিছু বলতে চাই না। আমরা যা জানতে পারব, তা আপনাদের জানাব।’’

আরও পড়ুন: করোনার হটস্পট কলকাতা, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন-পুরসভা?​

আরও পড়ুন: কোভিড পরীক্ষায় আরও আগ্রাসী রাজ্য, এল নতুন নির্দেশিকা​

আজই চিনের কমিউনিস্ট পার্টির বিদেশ দফতরের অধিকর্তা ইয়াং জিয়েচি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। তাঁর মুখপাত্র মর্গান অর্টাগাস জানান, করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে ‘স্বচ্ছতা ও যথাযথ তথ্য সরবরাহ’ দাবি করেছেন পম্পেয়ো। কোথায় ভাইরাসটির উৎপত্তি, কী ভাবে তা ছড়িয়ে পড়ল, যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে চিনের কাছ থেকে।

চিনের পারমাণবিক পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন স্তরে কথা চলছে। ১৯৯৬ সালের ‘কমপ্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি’ (সিটিবিটি) অনুযায়ী, ‘নিরাপদ’— একমাত্র এমন পরমাণু-অস্ত্র নিয়েই গবেষণা করতে পারে কোনও দেশ। ওয়াশিংটনের দাবি, ২০১৯ সাল জুড়ে লপ নুর পরমাণু গবেষণা ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে বেজিং এবং ‘জ়িরো ইল্ড’ নিয়ম ভেঙেছে। ‘জ়িরো ইল্ড’ হল এক ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষা, যাতে পরমাণু-যুদ্ধাস্ত্রের মতো বিস্ফোরক শৃঙ্খলাকার রাসায়নিক বিক্রিয়া (চেন রিয়্যাকশন) হয় না। এ ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতার অভাব ও বিশ্বকে অন্ধকারে রাখার অভিযোগ তোলা হয়েছে চিনের বিরুদ্ধে। কোনও দেশ গোপনে বিপজ্জনক পরমাণু গবেষণা চালাচ্ছে কি না, তার উপরে যান্ত্রিক উপায়ে নজর রাখে সিটিবিটি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা। অভিযোগ, নজরদারি রুখতে সংস্থাটির ‘ডেটা ট্রান্সমিশন সেন্সর’টিও ব্লক করে চিন।

অভিযোগ অস্বীকার করে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং জানান, আমেরিকা ‘মিথ্যে কথা’ বলছে। ওদের ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ রয়েছে। আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি দায়বদ্ধই রয়েছে চিন।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus China US
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy