Advertisement
E-Paper

মার্কিন পণ্যে পাল্টা আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক! রফতানিতেও রাশ, আমেরিকার ১১ সংস্থার বাণিজ্য বন্ধ করে দিলেন জিনপিং

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বিভিন্ন দেশের উপরেই শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। সেই তালিকায় চিন ছিল অন্যতম। চিনা পণ্যে ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প।

China announces additional tariffs on US goods after Donald Trump’s decision

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (বাঁ দিকে) শুল্ক ঘোষণার পাল্টা দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১৫
Share
Save

আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর আরও ৩৪ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করল চিন। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। চিনের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইম্‌স জানিয়েছে, আমেরিকায় উৎপন্ন যাবতীয় পণ্য চিনে আমদানির সময়ে ৩৪ শতাংশ বাড়তি শুল্ক নেওয়া হবে। বর্তমানে যে শুল্কের হার চলছে, তার উপর ভিত্তি করে বাড়তি শুল্ক নির্ধারণ করা হবে। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছে চিনের স্টেট কাউন্সিলের কাস্টমস্‌ ট্যারিফ কমিশন। বুধবার আমেরিকা চিনা পণ্যের উপর যে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপ করেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি শুল্কের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বিভিন্ন দেশের উপরেই শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। চিন ছিল সেই তালিকায় অন্যতম। ট্রাম্পও চিনের পণ্যের উপরে বাড়তি ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। একই হার প্রয়োগ করল বেজিংও। শুধু বাড়তি শুল্ক আরোপই নয়, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের জবাবে শি জিনপিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রক চিনা পণ্যের রফতানিতেও রাশ টেনেছে। অন্তত সাতটি খনিজ উপাদানের (রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস) রফতানি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিনপিং। তার মধ্যে রয়েছে গ্যাডোলিনিয়াম, ইট্ট্রিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। গ্যাডেলিনিয়াম এমআরআই-সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। ইট্রিয়াম ব্যবহার হয় মোবাইল ফোনের পর্দায়,ক্যামেরার লেন্স এবং আধুনিক ডিসপ্লে বোর্ডে।

আমেরিকার বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ করেছে চিন। ১১টি আমেরিকান সংস্থাকে ‘অবিশ্বস্ত’ বলে উল্লেখ করে চিনে তাদের বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চিনা কোনও সংস্থার সঙ্গেও তারা বাণিজ্য করতে পারবে না বলে জানিয়েছে জিনপিংয়ের বাণিজ্য মন্ত্রক।

বুধবার চিনা পণ্যের উপরে শুল্ক আরোপের সময়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকার পণ্যে চিন ৬৭ শতাংশ শুল্ক নেয়। আমরা ওদের কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। ওদের পণ্যে ৩৪ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হবে। ওরা যা নেয়, আমরা তার থেকে অনেক কম শুল্ক নিচ্ছি। এতে কারও খারাপ লাগতে পারে কী ভাবে? খারাপ লাগছে, কারণ আমরা আগে কখনও কারও থেকে শুল্ক নিইনি।’’ বৃহস্পতিবার, শুল্ক ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পরে সমঝোতার বার্তাও দেন ট্রাম্প। তিনি জানান, চিন যদি টিকটক চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হয়, তবে শুল্ক নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে পারে আমেরিকা। তবে সমঝোতার বার্তা তো জিনপিং দিলেনই না। উল্টে তিনি মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক চাপিয়ে দিলেন। আমেরিকার বাণিজ্যে চিনের এই অবস্থানের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

US Tariff China Donald Trump Reciprocal Tariffs Xi Jinping US China Trade War

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}