পুকুর থেকে তোলা হচ্ছে বাস। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশে যাত্রিবোঝাই একটি বাস পুকুরে পড়ে গিয়ে অনেক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বাসটি সাধ্যের চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে ছুটছিল বলে অভিযোগ। চালকের গাফিলতিতে তা পুকুরে পড়ে যায়। এই ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩৫-এর বেশি।
বাংলাদেশের ছত্রাকান্দা এলাকার ঝালকাঠি সদর উপজেলায় শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগ, ‘বাসার স্মৃতি’ নামের ওই বাসের বহনক্ষমতা ছিল ৫২ জন। কিন্তু জোর করে তাতে আরও যাত্রী তোলা হয়েছিল। চালকই বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠেসে যাত্রী তুলছিলেন। প্রায় ৬৫ জন বাসটিতে উঠেছিলেন। অভিযোগ, এত যাত্রীর ভার বইতে না পেরেই পুকুরে উল্টে পড়ে ওই বাস।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, পুকুরে বাস পড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা অনেকেই জলে ডুবে যান। ডুবে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। পুকুর থেকে যে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের পেটে অনেক জল ঢুকে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আহতেরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরাও এই ঘটনার জন্য বাসের চালককে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
এই ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আট জন মহিলা, ছ’জন পুরুষ এবং তিন শিশু। রাসেল মোল্লা নামের এক যাত্রী বলেছেন, ‘‘আমি বাসে চালকের একদম পিছনের আসনে বসেছিলাম। বাস চালানোর দিকে চালকের কোনও মনোযোগ ছিল না। তিনি কেবল আরও বেশি যাত্রী তোলার পরিকল্পনা করছিলেন। বার বার সুপারভাইজ়ারের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। চালকের ভুলেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। বাবা মারা গিয়েছেন।’’
ঝালকাঠি এলাকায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। তারা রেকার দিয়ে পুকুর থেকে বাসটি তোলে। উদ্ধার করা হয় আটকে পড়া যাত্রীদের। অনেক মৃতদেহও পুকুর থেকে তুলে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy