চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকায় একটি মসজিদ ও হাসপাতালে বোমা হামলায় শুক্রবার অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের ধারণা, আতঙ্ক তৈরি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য মৌলবাদী কোনো জঙ্গি সংগঠনই এই কাজ করেছে। তল্লাশির পরে মসজিদটির অলিন্দ থেকে আরও তিনটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছে। তবে সেগুলি সেনা বাহিনীর ব্যবহার করা উচ্চমানের বিস্ফোরক নয়, ঘরোয়া ভাবে বানানো। এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি চালাচ্ছে র্যাব। সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মসজিদটি।
বন্দর শহর চট্টগ্রামে বরাবরই মৌলবাদীদের বাড়তি দাপট রয়েছে। বুধবার শহরের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিজয় দিবস পালনের সময়ে বোমা ফাটিয়ে, হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান ভেস্তে দেয় জামাতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির। তার ৪৮ ঘণ্টা পরে পতেঙ্গা তটভূমির কাছে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে শুক্রবার এই হামলা চালানো হল। এ দিন দুপুরে নমাজের সময়ে পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণ হয় মসজিদটিতে। একই সময়ে পাশের হাসপাতালেও একটি বোমা ফাটে। তবে নৌবাহিনীর কর্তারা বিষয়টি নিয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চাইছে না। সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ থেকে একটি বিবৃতিতে ঘটনাটিকে ছোট মাপের বিস্ফোরণ বলে উল্লেখ করা হয়।
সংরক্ষিত এলাকায় হওয়ায় মসজিদ ও হাসপাতালে অসামরিক লোকের প্রবেশাধিকার নেই। নৌবাহিনীর সদস্যদের পরিবারই মসজিদ ও হাসপাতালে যান। তবে নৌবাহিনীর এক অফিসার জানাচ্ছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা নমাজ পড়তে এলে তাঁদের ফেরানো হয় না। নাবিক পরিবারের ফাই-ফরমাসের কাজেও অনেক অসামরিক লোক নৌঘাঁটিতে আসা-যাওয়া করত। এমনই দুই সন্দেহভাজনকে র্যাব আটক করেছে। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের অন্য এক কর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত এক জনকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে চট্টগ্রাম সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy