মৃতের পরিবারকে স্বান্তনা। ছবি পিটিআই।
ধুমধাম করে চলছিল জন্মদিনের অনুষ্ঠান। কিন্তু উল্লাসের শব্দ ভেদ করে হঠাৎ ছুটে এল গুলির আওয়াজ। উপস্থিত অথিতিরা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে তাঁদেরই মধ্যে কমপক্ষে ছ’জনের দেহ। আর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন আরও এক জন। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। রবিবার ভোরের দিকে আমেরিকার কলোরাডো প্রদেশে ঘটে যাওয়া এই গুলি-তাণ্ডবের ঘটনায় আততায়ী আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এ দিকে রবিবার বিকেলেই লস অ্যাঞ্জেলেসের এক ভিড়ে ঠাসা পার্টিতে দুই বন্দুকবাজের হানায় প্রাণ যায় এক জনের। জখম হন তিন জন। বন্দুকবাজদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
কলোরাডোর ঘটনায় অভিযোগের আঙুল যার দিকে সে হতদের মধ্যেই এক মহিলার বয়ফ্রেন্ড বলে জানাচ্ছে পুলিশ। আততায়ী গাড়ি চালিয়ে এসেছিল। তদন্ত চলছে। তবে এই গুলি চালানোর পিছনে আসল কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারীরা। ওই পার্টিতে অনেকগুলি শিশু উপস্থিত ছিল। কিন্তু তাদের কারও ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত বাড়িটির পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ‘সিল’ করেছে পুলিশ।
হত্যার ঘটনাটি যেখানে ঘটে সেটি একটি ট্রেলার (ভ্রাম্যমাণ বাড়ি)। সেটি যেখানে পার্ক করা ছিল তার আশপাশে একাধিক মোবাইল হোম পার্কটিতে আরও একাধিক ট্রেলার রয়েছে। অঞ্চলের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙে। এতগুলো গুলির শব্দ শুনছিলাম যে প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বজ্রপাত হচ্ছে। এর পরেই সাইরেনের শব্দ কানে আসে।’’ রবিবার সংশ্লিষ্ট ট্রেলারটির সামনে জড়ো হয়ে শোকজ্ঞাপন করতে দেখা যায় নিহতদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। আমেরিকায় গত কয়েক মাসে এ ধরনের গুলি হানার একাধিক ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। গত মাসেই দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘‘এ ধরনের গুলি-সন্ত্রাস এক অতিমারি।’’ একই সঙ্গে এটিকে ‘আন্তর্জাতিক মহলের সামনে এক লজ্জা’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। এক রিপোর্টের দাবি, শুধু গত এক বছরেই এ ধরনের বন্দুক হানায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪৩ হাজার মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy