পিকআপ ভ্যানে চাপিয়ে পদ্মাসেতু পারাপার বাইআরোহীদের। ছবি সৌজন্য প্রথম আলো।
পদ্মাসেতুতে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিপাকে পড়েছেন বাইকআরোহীরা। গত ২৬ জুন বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে সেতুতে বাইক চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণার পর থেকেই নদী পারাপার হতে মহা সমস্যায় বাইকচালকরা।
অন্য দিকে, ফেরিতে নদী পারাপারও বন্ধ। ফলে নদী পার করতে অন্য কৌশল নিচ্ছেন বাইকচালকরা। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মাসেতু পারাপারের জন্য বাইকচালকরা পিকআপ ভ্যানে তাঁদের বাইকগুলি তুলে দিয়ে সেই বাইক ত্রিপলে ঢেকে সেতু পারাপার করছেন।
মাদারীপুরের পুরনো বাজার এলাকার বাসিন্দা রাজীব হোসেন এই ধরনের নিষেধাজ্ঞায় হতাশই হয়েছেন। ‘প্রথম আলো’কে তিনি বলেন, “সেতু বানিয়ে আমাদের কী লাভ হল? সেতুতে বাইক চালাতে পারছি না, আবার নদী পারাপারের জন্য ফেরিও চলছে না। ১০০ টাকার টোল এখন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হচ্ছে পিকআপ ভ্যানে। এই গরমের মধ্যে পিকআপে যেতে হচ্ছে ত্রিপল ঢাকা দিয়ে। কাকে বলব এই কষ্টের কথা!”
পদ্মাসেতু উদ্বোধনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেতুতে বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়। ২৭ জুন সকাল ৬টা থেকেই সেতুতে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর তার পর থেকেই প্রবল সমস্যার মুখে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলগামী বাইকচালকরা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জেল হোসেন ‘প্রথম আলো’কে বলেন, “সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ রয়েছে। পিকআপ ভ্যানে খোলা ভাবে বাইক যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে মালপত্র হিসেবে মোটরসাইকেল পারাপার করা যাবে। যাত্রী-সহ মোটরসাইকেল পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy