Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Jammu And Kashmir

কাশ্মীর নিয়ে এ বার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে যাচ্ছে পাকিস্তান

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ।

এ বার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।

এ বার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ১৯:৫৭
Share: Save:

কুলভূষণ যাদব গুপ্তচর কি না, তা নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। তার মধ্যেই ফের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান সরকার। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ এবং জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া নিয়ে, সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল তারা। সব দিক ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি

মঙ্গলবার পাক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুরেশি বলেন, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখে এবং সব কিছু বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। তার মধ্যেই এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে পাক সেনেটে। সেখানেই সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের তথ্যমন্ত্রী ফিরদৌস আশিক আওয়ান। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা, এই দুই বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এ বার মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী, অস্বস্তি বাড়ল ইমরানের​

আরও পড়ুন: ৩৫০ কোটির দুর্নীতি! গ্রেফতার রাতুল পুরী, ভাইপোর ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, বললেন কমল নাথ​

এর আগে গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কাউন্সিলের দ্বারস্থ হয়েছিল পাকিস্তান। তা নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয় ১৫টি সদস্য দেশের। তবে শেষমেশ কোনও সিদ্ধান্তেই উপনীত হওয়া যায়নি। বরং বেশির ভাগ সদস্য দেশই সে সময় ভারতকে সমর্থন করে। তার পরেও টুইটারে লাগাতার ভারতকে আক্রমণ করে আসছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি, যার পর সোমবার ফোনে নরেন্দ্র মোদী এবং ইমরান খান দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় ইমরানকে সংযত হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। তার এক দিন পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ইমরান সরকার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE