কে পি শর্মা ওলি।
নেপালে কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির গদি রক্ষায় কূটনৈতিক রীতি-নীতি শিকেয় তুলে ফের আসরে নামলেন চিনের রাষ্ট্রদূত শ্রীমতি হোউ ইয়ানকি। শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির ওলি-বিরোধী নেতাদের বাড়িতে গিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর কাছেও যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
এর আগে মে মাসে দলে ও দলের বাইরে ওলি-বিরোধী হাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গদি যখন টলোমলো, সেই সময়ে নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক গোপন বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দেন হোউ। তার পরেই ওলি ভারতের তিনটি এলাকা লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের মানচিত্রে জুড়ে সংবিধান সংশোধন বিল পাশ করান। দেশপ্রেমের জোয়ারে সব বিরোধিতা ভেসে যায়। এর পরই দল ফের ওলির ইস্তফা চেয়ে তৎপর হয়েছে। দলের তিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল, মাধব নেপাল এবং ঝালনাথ খানাল অভিযোগ করেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কূটনৈতিক বিপর্যয় তৈরি করেছেন ওলি। দলের নীতি-নির্ধারক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ৪৫ জন সদস্যের মধ্যে ৩০ জনই ওলির ইস্তফার পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার ফের মাধব নেপালের বাড়িতে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে চিনের বিতর্কিত রাষ্ট্রদূত হোউ-কে। এর পরে তিনি প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারীর বাসভবনেও যান। মঙ্গলবার ঝালনাথ খানালের বাড়িতে গিয়েও আলোচনায় বসেন হোউ।
নেপালের বিদেশ মন্ত্রক হোউয়ের আচরণে ক্ষুব্ধ। এক কূটনীতিকের কথায়, এই তৎপরতা স্পষ্ট রীতি-লঙ্ঘন। ঘরোয়া রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ। রাষ্ট্রদূত যদি নেতা বা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেনও, বিদেশ মন্ত্রকের এক প্রতিনিধির সেখানে থাকার কথা। সে সব কিছুই হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy