রমেছা খানমের নির্বাচনী পোস্টার। ছবি— সংগৃহীত।
২ বছর আগে হাসিমুখে কম্বল বিলি করেছিলেন। সদ্য ভোটে হেরে এ বার সেই কম্বলই কেড়ে নিলেন বাংলাদেশের এক মহিলা রাজনীতিবিদ। গ্রাম বাংলায় শীত যখন জাঁকিয়ে পড়ার অপেক্ষায়, তখন এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ কম্বল হারানো ওই মানুষেরা। যদিও ওই নেত্রীর দাবি, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
ভোটে জিততে কত কি-ই না বিলি করেন রাজনীতিবিদরা। নিন্দকেরা বলেন, মাংস-ভাত, নগদ টাকা মায় কারণবারি পর্যন্ত বিলি চলে রমরমিয়ে। কিন্তু ভোটে হারের পর সে সব ফেরত নেওয়ার কথা তেমন ভাবে শোনা যায় না। এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলে।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী রমেছা খানম বছর দুয়েক আগে আকুয়া গ্রামের মকবুল হোসেন, অনু মিঞা, শঙ্কু ও বঙ্কু নামে চার জনকে চারটি কম্বল দিয়েছিলেন। সেই কম্বলে গা মুড়ে পর পর দু’বার পৌষ-মাঘের ঠান্ডায় জমিয়ে ওম উপভোগ করেছেন। কিন্তু গত রবিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফল বেরোলে দেখা যায়, হেরে গিয়েছেন রমেছা। অভিযোগ, এর পরেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে শঙ্কু-বঙ্কুদের কাছ থেকে চারটি কম্বলই ফেরত নিয়ে নেন তিনি।
কেন কম্বল ফেরত নিলেন? ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রমেছা যাঁদের কম্বল বিলিয়েছিলেন, তাঁরা সবাই ভোটে জয়ী প্রার্থী জ্যোৎস্না বেগমের প্রতিবেশী। রমেছার সন্দেহ, ভোটে জ্যোৎস্নার হয়ে প্রাণ ঢেলে খেটেছেন ওই চার জন। আর কম্বলের বেলায় রমেছা! সেই রাগেই ২ বছর আগে বিলানো কম্বল ফিরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, শীতের শুরুতে এ ভাবে কম্বল হারিয়ে মুহ্যমান অনু মিঞার প্রশ্ন, ‘‘গরিবের প্রতি ওঁর মনে কোনও মায়া দয়া নেই! এই কারণেই কেউ সমর্থন করেননি ওঁকে।’’
যদিও কম্বল ফিরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মোটেই মানতে চাননি রমেছা। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। বিরোধীদের অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
তবে রমেছা যাই বলুন না কেন, সব মিলিয়ে কম্বল নিয়ে শীতের গোড়ায় তরজা তুঙ্গে বাংলাদেশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy