সরকারি খাতায় ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠন। রয়েছে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা অভিযোগ। এ বার সেই হিযবুত তাহরীর মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র হল ঢাকা। মারমুখী হিযবুত সমর্থকদের ঠেকাতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ। গ্রেফতারও করা হল কয়েক জনকে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, নিষিদ্ধ হিযবুতের তরফে আগেই ‘মার্চ ফর খিলাফত’ আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবারের নমাজের পরে হিযবুতের নেতা-কর্মীরা বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে ব্যানার-পতাকা নিয়ে মিছিল শুরু করেন। পল্টন মোড়ে পুলিশ মিছিল আটকাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। ছোড়া হয় ইট। সে সময় পুলিশ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গ্রেফতারও করা হয় কয়েক জনকে। এর পরে আন্দোলনকারীরা মূল সড়ক থেকে অলিগলিতে ঢুকে বিক্ষিপ্ত ভাবে হামলা চালান বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত বছর গণআন্দোলনের জেরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আইএসের পতাকা নিয়ে মিছিল করার অভিযোগ উঠেছিল হিযবুতের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের বিশেষ সহকারী তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহফুজ আলমের সঙ্গে হিযবুতের যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ইউনূস সরকারের আমলেও ‘নিষেধাজ্ঞা’ থেকে মুক্তি পায়নি ওই সংগঠন। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার হিযবুত তাহরীরকে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনও ধরনের সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ বা প্রচারমূলক কার্যকলাপ চালানো ‘ফৌজদারি অপরাধ’।