Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

মোদীর সফরে লাভ হবে কি? ধন্দে হাসিনা

ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্ভাব্য উপস্থিতি ঘরোয়া রাজনীতিতে হাসিনাকে কতটা সুবিধা দেবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২১
Share: Save:

এনআরসি এবং নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সংসদে বক্তৃতার পর যথেষ্ট বিড়ম্বনায় হাসিনা সরকার। এক দিকে হাসিনা জমানার সঙ্গে মোদী সরকারের সম্পর্কের বহু বিজ্ঞাপিত ‘সোনালি অধ্যায়’-কে সামনে এনে তাদের বিঁধছে বিরোধী দল বিএনপি। অন্য দিকে গোটা দেশে তৈরি হওয়া ভারত-বিরোধিতা ক্রমশ আওয়ামি লিগ বিরোধিতায় পরিণত হচ্ছে বলে ঢাকা সূত্রের খবর। বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ চাপে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।

আওয়ামি লিগ সূত্রের খবর, এ হেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মার্চে শেখ মুজিবের জন্ম শতবর্ষ পালনের উৎসবে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্ভাব্য উপস্থিতি ঘরোয়া রাজনীতিতে হাসিনাকে কতটা সুবিধা দেবে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি এসে মোদীকে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছেন। তা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিদায়ী হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলির সঙ্গে মোদী দেখা করার পরে বাংলাদেশের পক্ষে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর শতবর্য উদযাপন উপলক্ষে আমন্ত্রণ করার জন্য নরেন্দ্র মোদী আনন্দ প্রকাশ করছেন।’

ঘটনা হল, মোদীর এই সফরটিকে সামনে রেখে এবং শেখ মুজিবের শতবর্য উদযাপনে ভারতের বেশ কিছু যৌথ উদ্যোগকে তুলে ধরে ভারতের পক্ষ থেকে শীতলতা কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বিদেশসচিবের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রক্রিয়া আরও গতি পেতে দেখা যাবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অনুষ্ঠানে মোদীকে মধ্যমণি করাটা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই ঢাকা সূত্রের খবর। এমন প্রশ্নও দলের মধ্যে উঠতে শুরু করেছে যে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মোদী বা তাঁর দলের যে হেতু সম্পর্কই ছিল না, তাই তাঁর উপস্থিতি বাড়তি বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে।

গত সপ্তাহেই বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফাখরুল ইসলাম আলমগির একটি তিন পাতার বিবৃতি দিয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন ভারত সরকারের নয়া নাগরিকত্ব আইন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের। বলা হয়েছে বাংলাদেশকে যে ভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে একই বন্ধনীতে রাখা হয়েছে তা ‘অপব্যাখ্যামূলক, অসত্য, বিভ্রান্তিকর’। এই নাগরিকত্ব নীতিকে বৈষম্যমূলক বলে বিএনপি বলেছে, বাংলাদেশে এর ফলে রোহিঙ্গার পরে আবার নতুন করে শরণার্থী সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আওয়ামি লিগ সরকারের ‘সোনালি অধ্যায়’ প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষও করা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy