ফ্লোরেন্স-এর দাপটে ডুবেছে গাড়িও। ছবি: রয়টার্স।
শেষ পর্যন্ত দুর্বল হয়েছে সে। তবে ১৪ জনের প্রাণ নিয়ে। আজ বিকেলেও বেশ ঝড়বৃষ্টি হল। কলম্বিয়ায় ছবিটা অনেক বদলেছে। এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস! কচ্ছপ গতিতে ফ্লোরেন্স পেরিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিপদসীমার বাইরে। হারিকেন ফ্লোরেন্স এখন শুধু ক্রান্তীয় ঝড়। বৃষ্টি চলবে। হড়পা বান থেকে এখনই মুক্তি নেই।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। তবে সত্যি কথা বলতে কী, যতটা ভেবেছিলাম, ঘরে বসে ততটা বুঝতে পারিনি। অনেক কিছু ঘটেছে বাইরে। কলম্বিয়ায় বিপদ কাটলেও সাউথ ক্যারোলাইনার সামটার, গিলবার্ট আর মিডল্যান্ডে গাছ উপড়ে বিদ্যুতের লাইন বিপর্যস্ত। লেক্সিংটনে লেক মারে-তে নৌকা আর জেটির দুলুনি ছিল দেখার মতো। নর্থে উইলমিংটন, লাম্বারটন, শার্লট, রেলি-তে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। জলস্তর আরও বাড়বে। নর্থ ক্যারোলাইনায় এখনও হাজার মিলিমিটার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
জ্যাকসনভিলে কিছু হরিণ সাঁতরে পেরোচ্ছে, এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে শুনলাম। সমুদ্র তীরবর্তী জঙ্গল থেকে অনেক পশুপাখিই জনবসতির দিকে ঢুকছে। বন্যায় সমুদ্র তীরবর্তী বিষাক্ত সাপদের বসতি উজাড় হয়ে যায়। স্রোতে ভেসে এসে তারা ধ্বংসাবশেষে লুকিয়ে থাকতে পারে। সামুদ্রিক নানা ছত্রাকও ভেসে আসে ঘরবাড়িতে। এই ধরনের ছত্রাক বছরের পর বছর থেকে যায়। যা থেকে পরে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা ও অন্য নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। আতঙ্ক তাই থাকছেই। তবে এখন পুনর্বাসনের কাজে আমাদের সাহায্য করার পালা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েকটা দল গড়ে এই কাজে নামব। আশ্রয়হারা মানুষ বাড়ি ফিরুক, এই প্রার্থনা।
(সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy