Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
TMC Councilor

কাউন্সিলর-পুত্রের গাড়ির ধাক্কায় হাসপাতালে প্রৌঢ়া, গ্রেফতারির পর থানা থেকেই জামিন অভিযুক্তের

কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র শুদ্ধসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুধবার গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে থানা থেকেই তিনি জামিন পেয়ে গিয়েছেন।

(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনার পর কাউন্সিলরের পুত্রের গাড়ি। তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনার পর কাউন্সিলরের পুত্রের গাড়ি। তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০১
Share: Save:

গাড়ির ধাক্কায় প্রৌঢ়াকে জখম করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দোপাধ্যায়ের পুত্র শুদ্ধসত্ত্ব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিকেলে থানা থেকেই জামিন পেয়ে গেলেন তিনি। দুর্ঘটনায় জখম প্রৌঢ়া এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার সকালে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন মিতালির দুই পুত্র। তাঁদের মধ্যে কনিষ্ঠ শুদ্ধসত্ত্ব গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। বিবেকানন্দ পার্কের কাছে তাঁদের গাড়ির ধাক্কায় এক প্রৌঢ়া জখম হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন প্রৌঢ়া। আচমকা তিনি গাড়ির সামনে চলে আসেন। উল্টো দিক থেকে ওই সময়ে আরও একটি গাড়ি আসছিল। দু’টি গাড়ির মাঝে পড়ে তিনি কিছুটা থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন। ফলে ঠিক সময়ে সরে যেতে পারেননি। গাড়ির ধাক্কা লাগে তাঁর গায়ে। তিনি রাস্তার উপর পড়ে যান।

গাড়ি থামিয়ে কাউন্সিলরের পুত্রই বেরিয়ে এসেছিলেন। প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে দেন এবং সেখানে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। এর পর কনিষ্ঠ পুত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই প্রৌঢ়ার নাম তারা সাহা। তিনি হালতুর বাসিন্দা।

প্রৌঢ়াকে ধাক্কা মারার অভিযোগে শুদ্ধসত্ত্বের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮১, ১২৫বি, ৩২৪ (৪) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। প্রত্যেকটিই জামিনযোগ্য ধারা। ফলে বিকেলের মধ্যে থানা থেকেই তিনি জামিন পেয়ে যান।

মিতালি বলেন, ‘‘আমার দুই ছেলে বিবেকানন্দ পার্কের কাছে চা খেতে গিয়েছিল। ফেরার সময়ে লেক কালীবাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। উল্টো দিক থেকেও একটা গাড়ি আসছিল। দুই গাড়ির মাঝে পড়ে বয়স্ক মহিলা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উনি পড়ে যান। আমার ছেলেরাই উদ্ধার করে ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসএসকেএমে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে। বড় ছেলে সেখানেই ছিল সকাল থেকে। ওঁর পরিবারের লোকজনও সহযোগিতা করেছেন। আমার ছেলে ভাল গাড়ি চালাতে পারে। ও কাউকে ধাক্কা দেয়নি। আপাতত জামিনে মুক্তি পেয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy