Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ফের কাশ্মীর নিয়ে টুইট, মালালাকে তোপ বিজেপির

টুইটারে মালালা লিখেছেন, ৪০ দিন কাশ্মীরের পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৮
Share: Save:

আগেও কাশ্মীরের মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এ বার কাশ্মীরের পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সাহায্য চাইলেন শান্তির নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। শনিবার মালালার এই টুইটের পরেই তাঁর সমালোচনায় নামলেন বিজেপি, শিবসেনার নেতা-নেত্রীরা।

টুইটারে মালালা লিখেছেন, ৪০ দিন কাশ্মীরের পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না। বালিকা-কিশোরীরা বেরোতে ভয় পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। এর পরেই মালালার মন্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মঞ্চের নেতাদের কাছে আমার আর্জি, কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করুন। মানুষের কথা শুনুন। কাশ্মীরের ছেলেমেয়েরা যাতে নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারে, সে জন্য তাদের সাহায্য করুন।’’

মালালার টুইটের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি ও শিবসেনার নেতা-নেত্রীরা তাঁর সমালোচনা শুরু করেন। কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ শোভা করন্দলাজে লিখেছেন, ‘‘নোবেলজয়ীর কাছে অনুরোধ, আপনি পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে কিছু বলার জন্য একটু সময় খরচ করুন। আপনার নিজের দেশে যে ভাবে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করা হচ্ছে, যে ভাবে সংখ্যালঘু মেয়েদের নিপীড়ন করা হচ্ছে, তা নিয়ে কিছু বলুন।’’ শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী অভিযোগ এনেছেন, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের ভাবনাকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন মালালা।

মালালার টুইটের এক দিন পরে, আজ সকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের দুরবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন। টুইটারে রাজনাথ লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ফলে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা উচিত নয় পাকিস্তানের। দেশভাগের পরে যাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন, অপমান করে আজও তাঁদের ‘মুজাহির’ বলা হয়।’’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানে শিখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের কী হাল, গোটা বিশ্বের সামনে তা গোপন নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে অনেক কথা বলছে পাকিস্তান। ওদের উচিত নিজেদের দিকে তাকানো।’’ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পরেই গত ৫ অগস্ট থেকে সেখানে স্কুলগুলিতে কার্যত অচলাবস্থা চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সরকারি প্রয়াস সফল হয়নি। কারণ, নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। এমনকি, পড়ুয়াদের স্কুলে না পাঠানোর জন্য পোস্টারও পড়েছে শ্রীনগরে। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের পরামর্শদাতা ফারুক খান অভিযোগ করেছেন, জঙ্গিরা চায় মানুষ অশিক্ষিত থাকুক। যাতে তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে তারা।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy