প্রতীকী ছবি।
পশুপ্রেম এক কথা, তার পৃথিবীজোড়া সমর্থক আছে। সংগঠনও আছে। কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই পশু পাখির প্রেমে পড়েন যদি কেউ! বা বলা ভাল প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন? তেমন প্রেমের সমর্থক তো দূর, মরমি পাওয়াও দুর্লভ। সম্প্রতি সেই অনুভূতি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন এক ‘পশুপ্রেমী’। পশু প্রেমের অপরাধে একটি চিড়িয়াখানায় ঢোকাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর। চিড়িয়াখানার এক শিম্পাঞ্জির প্রেমে পড়েছিলেন এক মহিলা। সেই প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষই।পশুকে ‘বাঁচানোর’ যুক্তি দেখিয়ে প্রেমিকার আসা যাওয়ায় লাগাম টেনেছেন তাঁরা। চিড়িয়াখানায় ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছেন পশুর প্রেমিকাকে।
ঘটনাটি বেলজিয়ামে অ্যান্টওয়ার্প চিড়িয়াখানার। এই চিড়িয়াখানাটিই ৩৮ বছরের শিম্পাঞ্জি ‘চিতা’র ঠিকানা। যেখানে গত চার বছর ধরে নিয়মিত বেড়াতে এসেছেন এবং অনেকটা করে সময় কাটিয়ে গিয়েছেন অ্যাডি টিমারমেন। তবে নিয়মিত এলেও চিড়িয়াখানার অন্য খাঁচায় কোনওদিনই আগ্রহ দেখাননি অ্যাডি। তিনি এসে দাঁড়াতেন চিতা-র কাছেই। সেখানেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাবনা বিনিময় হত দু’জনের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন দু’জনকেই মাথা নেড়ে, আকারে ইঙ্গিতে কথা বলতে দেখেছেন। ঘটনাটি নজর করেছিলেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও। তারাই এই ‘বাড়াবাড়ি রকমের প্রেমে’ লাগাম পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাডির চিড়িয়াখানায় প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, তাঁর সঙ্গ দোষে ক্ষতি হচ্ছে শিম্পাঞ্জিটির। মানুষের প্রতি চিতা-র এই অতি ‘প্রেম’ নিজের প্রজাতিদের থেকেই দূরে ঠেলে দিচ্ছে তাকে। যা কাম্য নয়।
চিড়িয়াখানার এই যুক্তি অবশ্য মানতে চাননি অ্যাডি। পশুপ্রেমিকার সরল প্রশ্ন, ‘‘আরও অনেক মানুষই তো রোজ দেখছে চিতাকে। তবে শুধু আমাকেই বাধা দেওয়া কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy