আলোর রোশনাইয়ে মোড়া বড়দিনের উদযাপন। শহর যখন কেক-সান্তায় মজে তখন এক বিশেষ কার্যকলাপে নিযুক্ত করল বাগবাজার উইমেন্স কলেজের ছাত্রীরা। পিছিয়ে পড়া পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন কলেজের স্নাতকোত্তর স্তরের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের পড়ুয়ারা। হাতে তুলে দিলেন বড়দিনের বিশেষ উপহার।
সাংবাদিকতা বিভাগের পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রমে থাকে ‘কমিউনিটি আউটরিচ’। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হয়। আয়োজন করতে হয় বিশেষ কর্মশালার। সেই সুবাদেই এ বার কর্মশালায় বড়দিন। বড়দিনের আনন্দ থেকে তাঁরা বঞ্চিত রাখতে চান না পথ শিশুদের। তাই কচিকাঁচাদের সান্তাক্লজ হলেন কলেজের পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন:
সোমবার ২৩ ডিসেম্বর মধ্যমগ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সাহায্যের হাত এগিয়ে দিলেন তাঁরা। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রায় ৬০ জন পড়ুয়া এবং বিভাগের শিক্ষকেরা মিলে নিজেদের টাকা দিয়ে কিনলেন উপহার, যা প্রায় ১০০ জন শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হল। উপহারে ছিল খাতা, পেন, সান্তা টুপি, শীতবস্ত্র-সহ বড়দিনের কেক ও আরও কত কিছু।
কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘গত বছর পড়ুয়ারা শোভাবাজারের কিছু পথশিশুদের উপহার তুলে দিয়েছিল। এ বছর ওঁরা নিজেরাই টাকা দিয়ে ১০০ জন শিশুর জন্য উপহার কিনেছিল।’’
পাঠ্যক্রমের একটা অংশ হলেও পড়ুয়াদের এ হেন সামাজিক কার্যকলাপে খুশি বিভাগীয় শিক্ষকরাও। এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় বলে মনে করেন শিক্ষকরা।