টিকাবিরোধী বিক্ষোভ।
পারদ শূন্যের নীচে। হাড়কাঁপানো শীতেও উত্তপ্ত কানাডা। তার আঁচ পড়েছে ইউরোপেও। ফ্রান্সের পরে এ বার বেলজিয়ামেও শুরু টিকা-বিরোধী বিক্ষোভ। শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক নিয়ে লোকজন কানাডার অটোয়ার ধাঁচে ব্রাসেলসে পথ অবরোধের চেষ্টায়। ঠিক যেমন শনিবার প্যারিসের শঁজ়ে লিজ়েতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল কয়েকশো গাড়ি-ট্রাক।
ব্রাসেলসের ক্ষেত্রেও ঘটনার সূত্রপাত ফ্রান্সে। সে দেশ থেকে ১৩০০ গাড়ি ফরাসি সীমান্ত শহর লিলে ঢোকে রবিবার রাতে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন ব্যস্ত ব্রাসেলসের পথে নামবে তারা। লিলি শহরের পার্কিং লটে বিক্ষোভকারীরা রাতেই স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের হাতে ছিল ফরাসি ফ্ল্যাগ। মুখে স্লোগান, ‘‘স্বাধীনতা, স্বাধীনতা চাই’’, ‘‘হার মানব না আমরা’’।
৫৮ বছর বয়সি এক বিক্ষোভকারী ফ্রান্স থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ব্রাসেলসে ঢুকে প্রতিবাদ জানাব। সরকারের এই সব নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের।’’ ৪৫ বছর বয়সি ফর স্যান্ডরিন বলেন, ‘‘আমরা দিনে দিনে একটু একটু করে সমস্ত স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছি। অদ্ভূত ভাবে সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’’
গত কালই প্যারিসে ৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে টিকা-বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোয়। শঁজ়ে লিজ়েতে বিক্ষোভ রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। এই ঘটনার পরেই বিক্ষোভকারীদের একাংশ চলে এসেছে ব্রাসেলসে।
ও দিকে, অটোয়াতেও সেই পুরনো ক্ষোভের চেহারা। অন্তত ৪ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হন। বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ। একটানা বিক্ষোভে বিপর্যন্ত অটোয়া-বাসী। দিনরাত গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ, না হলে জোরে গান চালিয়ে। রাস্তায় যানজট লেগেই রয়েছে। কানাডার শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা বিশারদ আর্থার উইলজিনস্কি টুইট করেন, ‘‘গোটা শহর ক্ষুব্ধ। কারণ যাঁদের শহরকে বাঁচানো উচিত, তাঁরাই নিরাপত্তা শিকেয় তুলেছেন। কোনও নিয়ম না মেনে ভিড় করছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।’’ সরকারি কর্তাদের বক্তব্য, অটোয়া তো শুধু শহর নয়। দেশের রাজধানী। এ ভাবে সমস্ত কাজকর্ম স্তব্ধ করে দিয়ে আইনবিরুদ্ধ ভাবে জমায়েত করা মেনে নেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy