বর্ণবৈষম্যের যুগ শেষ করার তিন দশক পরে সেই আন্দোলনের অগ্রণী দলের একাধিপত্যের অবসান হল দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে। এই প্রথম বার মহাত্মা গান্ধীর ‘কর্মভূমি’তে তৈরি হল জোট সরকার। তার নেতৃত্বে প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)-এর নেতা সিরিল রামফোসা।
মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) এবং আরও কয়েকটি ছোট দলের সমর্থনে এএনসি নেতা রামফোসা শুক্রবার নবগঠিত পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরে রামফোসা বলেন, ‘‘আমাদের দেশের ভোটাররা চেয়েছিলেন, সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন জোট সরকারের নেতারা একসঙ্গে কাজ করবেন। তেমনটাই হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
বর্ণবিদ্বেষী ঔপনিবেশিক শ্বেতাঙ্গ শাসনের ইতি টেনে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করার পর ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল ম্যান্ডেলার দল এএনসি। প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ম্যান্ডেলা। তার পর থেকে গত ৩০ বছর ধরে দলটি দেশ শাসন করে যাচ্ছে। যদিও প্রতি বারই এএনসির ভোট কমেছে। এ বার বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেলেও এএনসির একদলীয় শাসন শেষ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
আরও পড়ুন:
এ বারের নির্বাচনে এএনসি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ফলে আনুপাতিক হিসাবে ৪০০ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তারা গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২০১টি আসন পায়নি। ক্ষমতায় ফিরতে জোট সরকারে যেতে হয়েছে ওই দলকে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) পেয়েছে ২১ শতাংশ ভোট। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা দলত্যাগী এএনসি নেতা জ্যাকব জুমার এমকেপি-কে সমর্থন করেছেন ১৪ শতাংশ ভোটার।