প্রতীকী ছবি।
তালিবান শাসনে নারীদের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়! বাড়ির বাইরে যাওয়াতেও যেখানে নানা বিধিনিষেধ, সেখানে পড়ার জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি মেলা যে আরও কঠিন হবে তা বোঝা কঠিন নয়। সম্প্রতি, আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ঠিক সেটাই করেছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ছাত্রীদের কাবুল ছাড়ার উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
সম্প্রতি কাবুলের কিছু পড়ুয়া কাজাখস্তান এবং কাতারে পড়তে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তালিবান সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। ছাত্রেরা অনুমতি পেলেও ছাত্রীদের কাউকেই কাবুল ছাড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় তালিবানের লিঙ্গবিদ্বেষের ফের প্রমাণ মিলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর অগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরেই মহিলাদের বিরুদ্ধে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। ছাত্রীদের আলাদা ভাবে স্কুলে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চালু হয়েছে ক্লাসে ছাত্র এবং ছাত্রীদের মাঝে পর্দা টেনে দেওয়ার ব্যবস্থা। অধিকাংশ চাকরির জায়গা থেকেই ছাঁটাই করা হয়েছে মহিলাদের।
নব্বইয়ের দশকে তালিবান শাসনে আফগান মহিলাদের একা বাড়ির বাইরে বেরোনোর উপরেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। শিক্ষা এবং চাকরিক্ষেত্রে ব্রাত্য ছিলেন তাঁরা। যদিও গত বছর ক্ষমতা দখলের পর প্রাথমিক ভাবে ‘অন্য পথে’ হাঁটার বার্তা দিয়েছিল তালিবান। সংগঠনের মুখপাত্র জ়বিউল্লা মুজাহিদ যখন জানিয়েছিলেন, মেয়েদের জন্য স্কুলের দরজা ‘খুব তাড়াতাড়ি খোলার ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁরা। যদিও ক্ষমতায় শিকড় মজবুত হতেই ধীরে ধীরে নারীবিদ্বেষী ভূমিকা ফিরে আসছে প্রয়াত মোল্লা মহম্মদ ওমরের গড়া সংগঠনে। গত ১৫ অগস্ট তালিবান শাসনের এক বছর পূর্তির দিনে কাবুলে শিক্ষা ও কাজের দাবিতে মহিলাদের মিছিলে চলেছে গুলিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy