Advertisement
E-Paper

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে ক্ষুব্ধ ছাত্রদের একাংশ

সম্প্রতি একাধিক ইসলামি সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল, শোভাযাত্রায় আপত্তি নেই। কিন্তু ‘মঙ্গল’ নামকরণ চলবে না।

নতুন নাম হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।

নতুন নাম হয়েছে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। —প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১৫
Share
Save

নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়াদের একাংশ। শোভাযাত্রার আয়োজক কমিটির কাছে এই নাম পরিবর্তনের ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি একাধিক ইসলামি সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল, শোভাযাত্রায় আপত্তি নেই। কিন্তু ‘মঙ্গল’ নামকরণ চলবে না। তাদের কারও কারও বক্তব্য ছিল, কোনও শোভাযাত্রা করলে মঙ্গল হবে, এমন বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ। তার পরেই নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেন অনুষ্ঠানের আয়োজক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদিক বৈঠকে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আপত্তির কথা তুলে ধরেন। গত কাল আগুন লেগে শোভাযাত্রার কিছু প্রতিকৃতি পুড়ে যায়। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বার অন্যান্য বছরের মতো শোভাযাত্রা আয়োজনের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদেরকে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়েও সমালোচনা করেছেন তাঁরা।

সাংবাদিক সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের পড়ুয়া জাহরা নাজিফা বলেন, ‘‘এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল করা হয়েছে। এ বার বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা নামে তা পালিত হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের কোনও মতামত ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা আমরা সমর্থন করি না।’’ পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, যে সেনেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই সভায় পড়ুয়া বা পড়ুয়াদের কোনও প্রতিনিধিকেই রাখা হয়নি। অথচ তাঁরা এই আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকেন।

অন্য দিকে, ‘তৌহিদী জনতার’ হুমকি চিঠি পেয়ে নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর প্রযোজিত ‘শেষের কবিতা’ নাটকের প্রদর্শনী আজ বাতিল করে দিয়েছিলেন আয়োজকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে নাটকটি আগামী সপ্তাহ থেকে মঞ্চস্থ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

শেষের কবিতা নাটকের নির্দেশক নূনা আফরোজ বলেন, ‘‘আমরা সব প্রস্তুতি শেষ করে প্রদর্শনীর জন্য তৈরি ছিলাম। সকালে হঠাৎ আমাদের জানানো হল, মিলনায়তনের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। তৌহিদী জনতা নাকি হুমকি দিয়েছে।’’ পরে অবশ্য শো-এর জন্য প্রশাসনের তরফে সর্বোচ্চ আশ্বাস মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bengali New Year Celebration Bangladesh poila boishakh

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}