ইলন মাস্ক। ফাইল চিত্র।
সংস্থার মালিকানা স্বত্ব হাতে পেয়েই টুইটার থেকে বিপুল সংখ্যাক কর্মীকে ছাঁটাই করেছিলেন ইলন মাস্ক। টুইটারের একটি অফিসে উচ্চপদস্থ এক আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়, অন্তত ১০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করতে হবে। আমেরিকার প্রখ্যাত দৈনিক ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর খবর, এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই দুশ্চিন্তা, উত্তেজনায় বমি করে ফেলেন ওই আধিকারিক।
সপ্তাহ তিনেক আগে টেসলা-কর্তা মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ব্যাপক কর্মী সঙ্কোচন শুরু করে আমেরিকার এই মেসেজিং অ্যাপ সংস্থাটি। মাস্ক কর্মীদের জানিয়ে দেন, সংস্থার আয় বৃদ্ধি করতে সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা অফিসে এসে কাজ করতে হবে প্রত্যেক কর্মীকে। যাঁরা এই মাত্রায় পরিশ্রম করতে পারবেন না, তাঁদের ইস্তফা দিতে বলা হয়।
মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার স্থির করে যে সারা বিশ্বে তাদের মোট যত জন কর্মী আছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁদের অর্ধেককে চাকরিতে বহাল রাখা হবে। এর পরই সারা বিশ্বে টুইটার কর্মীরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। অন্য চাকরির সন্ধানে কেউ কেউ সহকর্মীদের সঙ্গে ফোন নম্বর, বাড়ির ঠিকানা আদানপ্রদান করতে শুরু করেন। অনেককে আবার চিন্তা কমাতে অফিসেই ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই যে এই উদ্বেগজনক পরিবেশে কাজ করতে পারছেন না, টুইটারের অন্যতম শীর্ষ পদাধিকারীর বমি করে ফেলার ঘটনা তা-ই প্রমাণ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy