ছবি সংগৃহীত।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হবে অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কাজ। ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক আতাউর হোসেন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তেমনই জানিয়েছেন। তবে শুধু মসজিদ নয়, মসজিদ সংলগ্ন জমিতে হাসপাতাল, গ্রন্থাগার এবং কমিউনিটি কিচেন তৈরি করতে চলেছে ট্রাস্ট। আতাউর এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে জানান, "আমরা যে ভাবে মসজিদ চত্বরকে তৈরি করতে চাইছি, তার একটি খসড়া মানচিত্র আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি, অযোধ্যা উন্নয়ন পর্ষদ এই খসড়া মানচিত্রকে অনুমোদন দেবে।”
প্রসঙ্গত, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে ঐতিহাসিক রায় দেয়, তাতে বলা হয়, আগে যে জায়গায় বাবরি মসজিদ ছিল, সেই জায়গায় রামমন্দির তৈরি করা যাবে। আর অযোধ্যারই অন্যত্র মসজিদ তৈরি করার জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জায়গা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে মসজিদ নির্মাণের জন্য ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট তৈরি করা হয়। ট্রাস্টের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, শুধু মসজিদ নয়, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য একটি দাতব্য হাসপাতাল, গ্রন্থাগার এবং কমিউনিটি কিচেন তৈরি করা হবে। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগেই, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে রামমন্দিরের দরজা। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে মসজিদ তৈরির কাজ।
যার অর্থ, এক সময় রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে থাকা অযোধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের আগেই খুলে যাচ্ছে মন্দির এবং মসজিদের দরজা। ইন্দো-ইসলামিক ট্রাস্টের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ না থাকলেও তাঁরা আশা করছেন, ২০২৩-এর ডিসেম্বরেই মসজিদের কাজ শেষ হবে। ট্রাস্টের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আপাতত ১০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হলেও, পরে শয্যার সংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ করা হবে। কমিউনিটি কিচেনে প্রাথমিক ভাবে এক হাজার জনের খাওয়ার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হলেও, পরে তা বাড়িয়ে দু’হাজার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy