প্রতীকী চিত্র
চিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন মা। তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কের জেরে রীতিমতো ‘বদ্ধ’ চিন। যেমন মানুষের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা বসেছে, তেমন যান চলাচলও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে মায়ের দেহ ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন মুম্বইয়ের চিকিৎসক পুনীত মেহরা।
মায়ের দেহ ফিরিয়ে আনতে সরাসরি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখেছেন পুনীত। এ ছাড়া বিদেশ মন্ত্রক এবং বেজিংয়ে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও চিঠি লিখেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রায় ২৪ দিন পেরিয়ে গিয়েছে মায়ের মৃত্যুর। আমি এবং আমার পরিবার মানসিক ভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছি। খুব অসহায় লাগছে।’’
ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ২৪ জানুয়ারি বিমানে মা রীতা রাজিন্দর মেহরার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে বেজিং হয়ে মুম্বইয়ে ফিরছিলেন তিনি। প্রায় ন’ঘণ্টা বিমান যাত্রার পর শৌচালয়ে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তবে বেশ কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও তিনি না ফেরায় বিমানকর্মীদের সতর্ক করেন পুনীত। শৌচালয়ের দরজা খোলা হলে তাঁর মাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। বিমানে থাকা এক চিকিৎসক এবং নার্স সাহায্যে এগিয়ে আসেন। ঝেংঝউ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটির। যদিও ততক্ষণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। এর পর ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ পুনীত দেশে ফিরে এলেও তাঁর মায়ের দেহ এখনও ঝেংঝউয়েই আটকে রয়েছে।
দেহ ফেরাতে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পুনীত। তবে সোমবার দূতাবাসের তরফে তাঁকে জানানো হয় যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে হাজার বিধিনিষেধের জেরে দেহটি ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া আরও পিছিয়ে গিয়েছে। এর পরেই দেহটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হন পুনীত। তাঁর কথায়, ‘‘মর্যাদার সঙ্গে মায়ের সৎকার করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’’ যদিও পুনীত জানান, তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস।
দূতাবাস সূত্রে জানানো হয়েছে, বেজিং এবং সাংহাইয়ের মর্গগুলি থেকে কোনও বিদেশির দেহ বাইরে পাঠাতে হলে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সরকার। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে। যার জেরেই বাড়ছে বিলম্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy