কট্টরপন্থী তালিবানের বিশ্বাস, যে কোনও ধরনের মূর্তি তাদের অধিকৃত ভূমিতে রাখা মানেই তা ইসলামের অবমাননা। সেই কারণে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পুরাতাত্বিক ক্ষেত্র ও প্রত্ন-নিদর্শনগুলিকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয় তারা। প্রথম তালিব-শাসনে বামিয়ানের ধ্বংসলীলায় স্তম্ভিত হয়ে ওঠে বিশ্ব। দ্বিতীয় দফাতেও তারা বিধ্বংসী মনোভাব নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ইতিহাসবিদ ও পুরাতত্ত্ববিদরা।
অতি প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন সংস্কৃতির লীলাভূমি আফগানিস্তান। বিভিন্ন পুরাণে উল্লেখ রয়েছে এই অঞ্চলের। ‘ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ’ এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ‘গন্ধর্ব’ হিসেবে উল্লেখ করে বলে মনে করেন পুরাণ বিশেষজ্ঞরা। সে দিক থেকে দেখলে মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র গান্ধারীও আফগানিস্তানেরই কোনও রাজার কন্যা ছিলেন। ‘মার্কণ্ডেয় পুরাণ’ থেকে ‘মহাভারত’— গান্ধার (গন্ধর্বদের বাসভূমি) অঞ্চলকে উন্নততর সভ্যতার উদাহরণ বলেই উল্লেখ করেছে। অধিকাংশ ইতিহাসবিদ গান্ধারকে আজকের আফগানিস্তান বলে চিহ্নিত করেন।