মুক্তিপণের জন্য শিশুকন্যাকে ওই যুবক অপহরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। ছবি সংগৃহীত।
খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া— দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকরের হত্যাকাণ্ডের কায়দায় এই ধরনের অপরাধের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। তেমনই আর একটি ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য বাংলাদেশে। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে খুনের পর তার দেহ ছয় টুকরো করলেন অভিযুক্ত যুবক। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে।
গত ১০ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত। ওই শিশুকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তারই বাড়ির ভাড়াটে যুবকের বিরুদ্ধে। খুনের পর শিশুর দেহ টুকরো টুকরো করে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর, গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকায় বিকেলে পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল ওই শিশুটি। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই ওই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন যে, শিশুটি পড়তে যায়নি। এর পরই তার খোঁজ শুরু হয়। না পেয়ে শেষমেশ থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার।
এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার প্রথমে আটক করা হয় শিশুটির বাড়ির ভাড়াটে আবির আলি নামে এক ১৯ বছরের যুবককে।তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই এই খুনের রহস্যের কিনারা করে পুলিশ। ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা মুক্তিপণের জন্যই শিশুটিকে অপহরণ করার কথা ওই যুবক জানান বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শিশুটিকে অপহরণের পর পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানাতে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু ফোনের সিম কাজ না করায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এর পরই শিশুটিকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহ ছয় টুকরো করে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধের ঘটনার শো ‘ক্রাইম পেট্রল’ দেখেই শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক। শিশুটিকে খুন করতে যে দোকান থেকে দা ও ছুরি কিনেছিলেন অভিযুক্ত, সেই দোকানের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিশুটির দেহাংশ উদ্ধার করার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে, বাংলাদেশের খুলনায় লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো করার অভিযোগ উঠেছিল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করার ঘটনা আবার ঘটল ও পার বাংলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy